সারাদেশের মতো ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে চুয়াডাঙ্গাতেও। সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু রোগীসহ উপজেলার অনান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ৮জনের একজন ইমরান হোসেন (২১)। সে পার্শবর্তী জেলা মেহেরপুরের বলিয়ারপুর গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে। ইমরান রাজধানী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে আলেয়া খাতুন (৪৫)। নিজের বাড়িতেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের পর জ্বর নিয়ে গত ৪ তারিখে তিনিও ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে।
এদিকে, জেলায় ডেঙ্গুর চোখ রাঙানোর এই সময়েও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেই চুয়াডাঙ্গায়। নাম মাত্র ফগার স্প্রে ছাড়া কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধনে পৌরসভা কোন কার্যক্রম নেই। শহরের প্রধান সড়কে দুই একদিন পৌরসভা থেকে দায় সাড়া ফগার স্পে করতে দেখা গেলেও সেটার কোন উপকার আসেনি সাধারণ মানুষের। পৌর এলাকায় মশক নিধনে অর্থের বরাদ্দ থাকলেও তা কাজে লাগানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান বলেন, সদর হাসপাতাল ও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজন বিবেচনায় হাসপাতালে ডেঙ্গুর শয্যা বাড়ানো হবে। ওষুধের কোনো সংকট দেখা নেই।