নারায়ণগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন করা হয়।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক পরীক্ষায় কাম্য ফলাফল অর্জন না করা, নির্বাচনী পরীক্ষায় বিভি বহির্ভূত ফরমপুরণ করা, বহুবছর যাবৎ নির্বাচন ব্যতিরেকে পরিচালনা কমিটি গঠন ও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মসহ নানবিধ সমস্যায় জর্জরিত।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটিতে বিধি মোতাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ৬ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি মিসেস নিলুফা ইয়াছমিন নামে একজন প্রার্থীকে অনৈতিকভাবে পরীক্ষার পূর্বের দিন লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বিএ, এম এস এস পাস যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে লিখিত পরীক্ষায় গণিত প্রশ্নসহ কিছু কঠিন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে লিখলো যা বিএসসি, এমএসসি যোগ্যতা সম্পন্ন কয়েকজন প্রার্থীর অভিযোগ থেকে আমরা অবগত হয়েছি। অনৈতিকভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের বিরুদ্ধে আরও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গড়া স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ও স্বাধীনতা শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও মানসম্মত পাঠদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের পক্ষে। তাই আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী এই নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনৈতিকভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিল এবং অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মো.মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুল আউয়াল, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ জেলার সভাপতি ব্রোজেন্দ্র নাথ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুল গনিসহ ১২ জন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।