নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বড়ালু পাড়াগাঁও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে আয়া নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা আব্দুল হাই ও সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ মানিকের বিরুদ্ধে । গত ১ মার্চ শুক্রবার ওই মাদ্রাসার আয়া নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পদে মোট ৯জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। ওই নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে তদন্ত পূর্বক সঠিক, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগী প্রার্থীরা।
মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী প্রার্থী ফজি আক্তার বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। তাই এ মাদ্রাসায় আয়া হিসেবে কাজ করার জন্য পরীক্ষায় অংশ নিই। মৌখিক পরীক্ষায় আমার শশুর বাড়ি এবং বাবার বাড়ি কোথায় জিজ্ঞেস করে পরীক্ষা শেষ করে দিয়েছে। এটা কোনো পরীক্ষা না। এটা পরীক্ষার নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এখানে হাসি আক্তারের কাছে মোটা অংকের টাকা খেয়ে তাকে বাছাই করা হয়েছে। আমরা চাই এ পরীক্ষার সঠিক তদন্ত করে পুনরায় সঠিকভাবে পরীক্ষা নেওয়া হোক।
রুনু আক্তার একই অভিযোগ করে বলেন, এখানে
আয়া পদে সর্ব নিম্ন অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতা চেয়েছে। কিন্তু এ আয়া পদে পরীক্ষায় আমরা ৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আইএ বিএ পড়ে এমন প্রার্থী পরীক্ষা দেয় ৩ জন। তাহলে আমরা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা কীভাবে বাছাই হবো। এখানে তারা পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষার নামে নাটক সাজিয়ে হাসি আক্তারকে বাছাই করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পরীক্ষার্থী বলেন, এখানে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির মনগড়া মতো পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তারা আগেই টাকার বিনিময়ে আয়া হিসেবে হাসি আক্তারকে বাছাই করে রেখেছে। এটা লোক দেখানো পরীক্ষা হয়েছে। হাসি আক্তারকে বাদে আর কাউকে তেমন কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়নি। আমরা চাই এ পরীক্ষাটি পুনরায় নেওয়ার জন্য।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ মানিক মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসায় আয়া পদে নিয়োগে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি। মৌখিক পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের উপস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। যে পরীক্ষায় ভালো করেছে তাকেই বাছাই করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বড়ালু পাড়াগাঁও বাতেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা হাই এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়মনীতি মেনে স্বচ্ছাভাবে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়েছেন তারা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। নিয়োগের ব্যাপারে কোন আর্থিক লেনদেন করা হয়ইনি।