দেশের কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী ২২শে মার্চ পবিত্র শবে মেরাজ পালন করা হবে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মো: মুশফিকুর রহমান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস. এম. মাহফুজুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম,ওয়াক্ফপ্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম. হুমায়ুন কবির সরকার, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো: শাহেনুর মিয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক(প্রশাসন)মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন জুয়েল, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানআবু মোহাম্মদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মো: আবদুর রহমান, ঢাকা জেলারসিনিয়র সহকারি কমিশনার হাসান মারুফ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মো: নেয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় বিশেষজ্ঞ আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত লাভের একাদশ বর্ষের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিনগত রাতে আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে আরশে আজিমে আরোহণ করেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টিজগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য। মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ‘মিরাজ’।
হযরত মুহাম্মদ ছাড়া অন্য কোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। এ মেরাজ রজনীতেই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। এজন্য মুসলিম ধর্মালম্বীদের কাছে মিরাজের তাৎপর্য অনেক গুরুত্ব বহন করে।