গতকাল শনিবার (৭ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় ক্যাসিনোকাণ্ড ও টেন্ডারবাজির ঘটনায় গ্রেফতার আলোচিত যুবলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) জি কে শামীমকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। অত্যন্ত গোপনীয়তায় ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন নেন তিনি। তার জামিনের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এ খবর প্রকাশের পরই দেশের প্রতিটি মহলে শুরু হয় আলোচনা। মন্ত্রী এমপি থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি স্তরেই শামীমের জামিন নিয়ে শুরু হয় চর্চা। আজ রোববার (৮ মার্চ) শামীমের জামিন নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আদালত। আজ সকালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এফ আর খান জানান, জি কে শামীমের অস্ত্র মামলার জামিন আদেশ শুনানির জন্য রিকল করা হবে। এর আগে জামিন আদেশের খবরটির পর রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিলেন, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
জি কে শামীমের জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফজলুর রহমান খান জানান, তিনি জামিনের বিষয়ে কিছুই জানেন না। রোববার খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি। যদিও জামিনের কাগজের একটি কপি সংগ্রহ করেছে দেশের জাতীয় এক সংবাদমাধ্যম। গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অর্থসহ গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক মামলা রয়েছে। গেল বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীমকে গ্রেফতার করে র্যাব। রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযানে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়। এ সময় নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র, তার একটি আগ্নেয়াস্ত্র, দেহরক্ষীদের সাতটি শটগান-গুলি এবং কয়েক বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, অর্থপাচার ও মাদক মামলা করা হয়।