ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রবিউল ইসলাম।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি ইমাম জাফর।
তিনি বলেন, আসামি নিজে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সম্মতি জানায়। তাই সকাল ১০টায় রবিউলকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। পরে আবেদনসহ তাকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘোড়াঘাট আমলি আদালত-৭ এ নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘোড়াঘাট আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের কাছে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে রবিউলকে কড়া নিরাপত্তা নিয়ে দিনাজপুর আদালতে তোলা হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে তিনি বিচারকের সামনে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি শুরু করেন এবং বিচারক তা লিপিবন্ধ করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রবিউলকে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আবার আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবাববন্দি করবেন বলে আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানিয়েছেন, এ ঘটনার একমাত্র পরিকল্পনাকারী এবং হামলাকারী সে নিজেই। আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
তার দেয়া তথ্যমতে, হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, লাঠি, মই, চাবিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। একসাথে তার পরনের প্যান্ট, হাতের ছাপসহ মোবাইলের লোকেশন বিষয়গুলো আলামত হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এসব আলামত বিচারকার্যে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন ও প্রযুক্তির মাধ্যমে রবিউলকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ স্বীকার করে। গত ১২ তারিখ এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করে জানিয়েছে এ ঘটনায় প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং একমাত্র হামলাকারী সে নিজে। পরে তাকে ওইদিনেই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ।
আদালতের বিচারক তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওইদিন থেকেই রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। ওইদিনই তাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।