করোনা ভাইরাসের কারণে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ই-পাঠদানের (ভিডিও ক্লাস) ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ দীর্ঘ স্থায়ী হলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিঘ্নিত হবে। শিক্ষার্থীদের এই ঘাটতি পূরণে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার জন্য।
থানা শিক্ষা অফিসার এবং ক্লাস্টার প্রধান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিভাবকদের বাবা ও মায়েদের নম্বর আমাদের কাছে রয়েছে। প্রধান শিক্ষকরা ছুটির সময়ে নির্ধারিত পাঠ দেয়ার ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবেন বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিহ্উল্লাহ বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১৫ বা ২০ দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছি তা নয়, দীর্ঘ সময়ের জন্যই এই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমরা শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছি। কী কী বিষয় কত ঘণ্টা পড়াবো তা ঠিক করা হচ্ছে। তবে যেসব শিক্ষকদের ক্লাস ভিডিও রেকর্ডিং করাবো তারা এখন বেরুতে পারছেন না। আজকের বৈঠকের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতি হলে, ছুটি যদি আর নাও বাড়ে, তবু ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এটি কাজে দেবে। আমরা মুক্তপাঠ,শিক্ষক বাতায়নে এসব ক্লাস দেবো সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে পাঠ গ্রহণ করতে পারবে।
গত মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশের আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে জানানো হয়, দেশের ৬৫ হাজার ৬২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এই শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে মোবাইল ফোনে বন্ধকালীন সময় পাঠ্যসূচি যে ছিল, সেটা জানানো হবে অভিভাবকদের। প্রধান শিক্ষক ভার্চ্যুয়ালি মায়েদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পর্কে অবহিত করবেন। পাঠদানের ঘাটতি পূরণে চেষ্টা করতে মায়েদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয় ভিডিও কনফারেন্সে।