সমতার পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় ধনী-গরিবের মধ্যে ভ্যাকসিন বৈষম্য কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, পুরো বিশ্ব এক হয়ে কাজ না করলে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব নয়।বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘে সুইডিশ মিশন আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের সভায় ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। এ সময় সুনির্দিষ্টভাবে পাঁচ দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
নীতিনির্ধারকদের শীর্ষস্থানীয় এই বৈঠকটিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে থেকেই ধারণ করা ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, একক দেশের পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়।
আগামী দিনে সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে ভ্যাকসিন বৈষম্য দূর করার উদ্যোগ নিতেও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, সময়ের সবচেয়ে জরুরি আহ্বান হচ্ছে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ‘ভ্যাকসিন বিভাজন’ দূর করা। আমাদের একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন যা বৈষম্যকে সামগ্রিকভাবে মোকাবেলা করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবশ্যই সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোর বিশেষ অর্থায়নের চাহিদাগুলো সমাধান করতে হবে, যার মধ্যে এলডিসি ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো রয়েছে। অভিবাসী ও চলমান লোকদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, এই বিবর্তিত ডিজিটাল যুগে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের কঠোরভাবে ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে। আমাদের সমাজে প্রকৃত ‘পরিবর্তনের নির্মাতা’ হিসেবে কাজ করার জন্য আমাদের অবশ্যই নারী এবং মেয়েদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে হবে।
পরে, নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুইয়েতা সেরুতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। জাতিসংঘ মহাসচিবের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন বিষয়ক বিশেষ এই দূত ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। সেই সময়ে স্মৃতিচারণসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে এ সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন রানী ম্যাক্সিমা।