এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা
2, October, 2023, 3:17:18:PM
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উদ্বোধনের প্রথম ২৮ দিনে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি যানবাহন চলাচল করেছে। এসব যানবাহন এয়ারপোর্ট-ফার্মগেট অংশ ব্যবহার করেছে। এসময় টোল আদায় হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা।বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি আছে, দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের চেয়ে কম যানবাহন চলাচল করলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। আর এ বিধান কার্যকর হওয়ার কথা ২০২৪ সালের ১ জুন থেকে, যে সময় কাওলা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত পুরো প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু তার আগেই প্রথমাংশ উদ্বোধনের পরে অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা।এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম ২৮ দিনে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫৮টি গাড়ি চলেছে। তবে মোট গাড়ি চলাচলের ৯৯ শতাংশই ব্যক্তিগত গাড়ি। যার সংখ্যা ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭টি।এদিকে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করে লাভে আছে বিআরটিসি।এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে বেসরকারি গণপরিবহনগুলো যানজট এড়াতে পারতো। কিন্তু চলতি পথের যাত্রী সংকট হবে এমন অযুহাত দেখিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করছে না অন্য কোনো গণপরিবহন।তবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস চলাচল চালু করে। শুরুর দিনে ৮টি বাস চলাচল করে সংস্থাটি রাজস্ব আয় করে প্রায় ৬৮ হাজার টাকা। তবে দ্বিতীয় দিন দ্বিগুণ হয়ে সংস্থাটি রাজস্ব আয় পায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বিআরটিসি বাড়িয়েছে বাসের সংখ্যা আর আয়ও বেড়েছে সংস্থাটির।জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সর্বনিম্ন সাড়ে ১৩ হাজার যানবাহন চলাচল না করলে সরকারকে দিতে হবে জরিমানা। তবে পুরোপুরি কাওলা থেকে কুতুবখালি পর্যন্ত চালু না হওয়া ও ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি না চলায় এখন যে টোল আদায় হচ্ছে তার পুরোটা পাচ্ছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো।অন্যদিকে দৈনিক সর্বোচ্চ ৮০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করলে যে রাজস্ব আদায় হবে সেটির ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। আর সেতু কর্তৃপক্ষ প্রাপ্ত আয় থেকে ১০ শতাংশ দেবে রেলওয়েকে।এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে গাড়ি চলাচলের যে লক্ষ্যমাত্রা সেটি পূরণ হবে। তখন ৮০ হাজারের বেশি গাড়ি চললে রাজস্ব পাবে সরকার। এখন যেভাবে চলছে তাতে বলা যায় অনেকটা সুবিধাই হচ্ছে।গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে যানজটের নগরীতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়।আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালি পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তখন এর পুরো সুফল পাবে নগরবাসী।