মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলমত নির্বিশেষে মানুষজনের শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শহীদ বেদি। মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ৭০ বছর আগে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বাররা। যাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলায় কথা বলার অধিকার নিশ্চিত হয়েছে বাঙালির, তাদের স্মরণ করছে পুরো দেশ।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গাইতে গাইতে শহীদ মিনারে এখনও ফুল হাতে অপেক্ষায় সর্বস্তরের বহু মানুষ। অনেকের পরনেই সাদা-কালো পোশাক।
যথারীতি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শ্রদ্ধা নিবেদন।
করোনার কারণে এবারও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে ফুল দেন সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস।
এরপর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহীদ মিনার উন্মুক্ত হলে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢল নামে সাধারণ মানুষের।
এদিকে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপনের লক্ষ্যে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোও নানা কর্মসূচি পালন করছে।