বীরগঞ্জের চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় ছাত্রের কেউই পাস করেনি
15, May, 2024, 6:42:45:AM
দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধিনে ৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি। তাদের অন্যতম দিনাজপুরে বীরগঞ্জের চৌমুহনী উচ্চ বিদ্যালয়। নতুন এমপিও পাওয়া একটি বিদ্যালয়ের ছয়জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি। এক বিদ্যালয়ের সবাই ফেল করার বিষয়টি বীরগঞ্জে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। ৭জন শিক্ষক মিলে ৬ জন পরিক্ষার্থীকে পাশ করাতে না পারায় শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক ও সাধারন জনগনের মাঝে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বলছেন নবম-দশম শ্রেণীর কোন শিক্ষক না থাকায় এই ফল বিপর্যয হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নে ১৯৯৮ সালে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮৫ জন শিার্থী রয়েছে। যারমধ্যে ১৯ জন দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছে।
বিদ্যালয়ে এমপিও ভূক্ত সাতজন শিক্ষক, পাঁচজন কর্মচারি রয়েছে। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য দশম শ্রেনীতে ১১ জন শিক্ষার্থী টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছয়জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে চারজন ছাত্রী ও দুজন ছাত্র। ছাত্রদের মধ্যে একজন ছাত্রী প্রতিবন্ধী, একজন ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে । বিদ্যালয় থেকে প্রথমবারের মতো মানবিক বিভাগ থেকে সবাই পরীক্ষা দেয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় পরীক্ষায় কেউ পাস করতে পারেনি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বানু জানান, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র। এ কারণে শিার্থীদের বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আয়ের কাজে অংশগ্রহণ করতে হয়। এসব কারণে শিার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম থাকায় লেখাপড়ায় কিছু ঘাটতি রয়ে যায়। তা ছাড়া নবম-দশম শ্রেণীর কোন শিক্ষক নেই। নিন্ম মাধ্যমিকের শিক্ষক দিয়ে তাদেরকে পড়ানো হয়। তবে আগামীতে বিদ্যালয়ের পড়ালেখার বিষয়ে নজর দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি মজিবর রহমান জানান, নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। তার পরও লেখাপড়ার শিক্ষকদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বিদ্যালয়ের যে দুর্বল দিকগুলো আছে সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলী শাহ জানান, একটি বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রও এসএসসি পাস না করার ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্য বিদ্যালয় এগুলো হলো– গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ ঘোগোয়া গার্লস হাইস্কুল, পরীক্ষার্থী ১৪ জন। নীলফামারীর ডিমলা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব গার্লস হাইস্কুলে দুজন ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পূর্ব শুখহাটি গার্লস হাইস্কুলে পাঁচজন পরীক্ষার্থী।