ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ইসমাইল হানিয়া। আগামী চার বছর তিনি হামাসের নেতৃত্ব দেবেন। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি হামাস প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ বছর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি পুনরায় নির্বাচিত হলেন।
রোববার (১ আগস্ট) হামাসের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে গাজা উপত্যকা ছাড়াও ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার বাইরে ফিলিস্তিনি অভিবাসীদের নিয়ে রাজনৈতিকসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে হামাস।
ইসমাইল হানিয়া গত দুই বছর তুরস্ক ও কাতারে অবস্থান করে হামাস পরিচালনা করছেন। গাজায় কবে ফিরবেন তা জানাননি তিনি।
গত মে মাসে ইসরাইলের সঙ্গে হামাসের যে ১১ দিনব্যাপী যুদ্ধে ইসমাইল হানিয়া নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে ২৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের ১৩ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়।
পরে মিশরের মধ্যস্থতায় পরে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘটে।
৫৮ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়া হামাসের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইয়াসিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। ২০০৪ সালে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলায় ইয়াসিন নিহত হন।
২০০৬ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ইসমাইল হানিয়া। ওই বছর ফিলিস্তিনের সংসদ নির্বাচনে মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে হারিয়ে তিনি জয়লাভ করেন।
এরপর ওই বছর জানুয়ারিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেননি।
২০০৭ সালে এক গৃহযুদ্ধে গাজা অঞ্চল দখল করে নেয় হামাস। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজাকে আকাশ, সড়ক ও জলপথে অবরোধ করে রেখেছে।
হামাস প্রতি চার বছর পরপর নির্বাচন করে। গোষ্ঠীটির উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। ২০০৭ সাল থেকে হামাস ও ইসরায়েল অন্তত চারবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।