ইউরো, পাউন্ড ও ইয়েনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন মুদ্রার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে বৈশ্বিকভাবে দশমিক ২ শতাংশ কমেছে ডলারের দাম।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ইউরোপিয়ান ট্রেডিং আওয়ার্স সূচক বিশ্লেষণ করে জানা গেছে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর আগে বুধবার এই পতনের হার ছিল ১ শতাংশ, যা গত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন।
ডলারের এ পতনের মূল কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মাসের পর মাস ধরে চলা ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি। গত জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশটির অভ্যন্তরেই ডলারের মান ১ দশমিক ৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থার কোনো উন্নতি এখন পর্যন্ত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কমার্সব্যাংক বৃহস্পতিবার এক বার্তায় বলেছে, ‘বুধ ও বৃহস্পতিবারের তথ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশে মুদ্রাস্ফীতি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের (যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) উচিত ডলারের মূল্য বাড়ানো ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস, সেপ্টেম্বরের নীতি নির্ধারণী বৈঠকে ডলারের দাম ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির পর থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় ডলারের দাম বাড়িয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম।
তবে ব্যবসায়ী ও ব্যাংকারদের সেই আশায় কার্যত পানি ঢেলে দিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারি জানিয়েছেন, বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতিকে পরাস্ত করা থেকে এখনও অনেক দূরে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, একদিকে যেমন ডলারের দাম কমছে, তেমনি অন্যদিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এই মুদ্রার বিপরীতে বাড়ছে ইউরো, ইয়েন ও পাউন্ডের মত অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী বিদেশি মুদ্রার মান।
বুধাবার ডলারের বিপরীতে ইউরোর মান বেড়েছে ৩ শতাংশ ও ইয়েনের দাম বেড়েছে দশমিক ২ শতাংশ। পাউন্ডের দাম অবশ্য এ দিন ডলারের বিপরীতে দশমিক ২ শতাংশ কমেছে, তবে আগের দিন বুধবার মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে ব্রিটেনের মুদ্রার দর বেড়েছিল পুরো ১ শতাংশেরও বেশি।