গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন সবচেয়ে কম। দাম কমার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ প্রচেষ্টা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
১৮ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, বিশ্ববাজারে গত দেড় মাস ধরে বাড়ছিল তেলের দাম। এতে উৎপাদনকারী এবং ব্যবসায়ীরা লাভ করলেও সাধারণ ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। তেলের দাম নিয়ে অস্থিরতার পর অবশেষে জ্বালানি তেলের দাম কমলো।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। যা গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম।রিস্ট্যাড এনার্জির হেড অফ অয়েল মার্কেট বোর্নার টনহউজেন বলেন, এখন জ্বালানি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই দুই দেশের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় দাম কমাতে সহায়তা করছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী মাসে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল অনলাইনে আসার ব্যাপারে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে আসতে পারে। কিংবা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার বৃহত্তর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেও আসতে পারে।
হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে বৈশ্বিক জ্বালানী তেল সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দেশের সমন্বিত পদক্ষেপে লক্ষাধিক ব্যারেল তেল বাজারে আসে।
তবে এই পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিবর্তন বয়ে আনবে না বলেও মনে করেন বোর্নার টনহউজেন।