১৫ আগস্টে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন, শেওড়াপাড়া ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হুমায়ূন রশীদ জনি।
15, August, 2023, 6:11:27:PM
সুমন খান:
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্দেগে এক বিশাল দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করেন। গতকাল ১৫ আগস্ট (২০২৩)সকাল ১০ .৩০মিনিট সময় দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ঢাকা, শেওড়াপাড়া বাস স্টেশন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস প্রাঙ্গনে এসময় বক্তব্য রাখেন,
মোঃ জাকির হোসেন বাবুল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর ,মোঃ ইসমাইল হোসেন ইসমাইল সাধারণ সম্পাদক ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর, আলহাজ্ব হুমায়ুন রশিদ জনি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও সহ-সভাপতি ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর। মোঃ কবির আহমেদ ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলহাজ্ব হুমায়ুন রশিদ জনি ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঢাকা তার বক্তব্য রাখেন,
১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে শাহাদতবরণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে এক জঘন্য ও কলঙ্কময় কালো অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিল বিপদগামী সেনারা। আজ পুরো জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্টে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
বিষয় বক্তব্য বলেন,কবির আহমেদ ১৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর ।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে রক্ষা পান।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খোন্দকার মোশ্তাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে তৎকালীন সরকার।দোয়া মাহফিল দিয়ে শেষে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।