বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশে জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে।
7, August, 2022, 10:52:6:AM
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ টাকা থেকে ১৩৯ টাকা ছাড়িয়ে যায়। মার্চে তা বেড়ে ১৫৬ দশমিক ৩ ডলারে গিয়ে পৌঁছে। তেলের এ দাম বৃদ্ধি ছিল ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই দেশে তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ফলে ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুলাই) জ্বালানি তেল বিক্রয়ের (সব পণ্য) আট হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারের এমন পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মূল্য সমন্বয় করা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, আমাদের আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও দাম বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশে নতুন ঘোষণায় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৮০ থেকে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। অকটনের লিটার ৮৯ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রলের লিটার ৮৬ টাকা থেকে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। ২২ মে ভারতে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ১১৪ দশমিক ৯ টাকা এবং পেট্রলের লিটার ১৩০ দশমিক ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ দশমিক ৯ টাকা এবং পেট্রল লিটারপ্রতি ৪৪ দশমিক ৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল। এ ছাড়া ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য কম থাকায় পাচারেরও আশঙ্কা ছিল।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বাংলাদেশে ১৭ বার ডিজেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ বার বেড়েছে আর চারবার কমেছে। এর মধ্যে বিএনপির শাসনামলে বেড়েছে (২০০১-২০০৬ মেয়াদ) বেড়েছে ৯ বার। তবে বর্তমান সরকারের সময়ে জ্বালানি তেলের দাম একাধিকবার কমানোর নজির রয়েছে। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছিল। এর আগে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনঃবিবেচনা করা হতে পারে।