করোনা মহামারি প্রতিরোধে বিধিনিষেধের পর ১০টি দেশ থেকে ভ্রমণকারীরা ফিলিপিন্সে প্রবেশ করতে পারবেন। আগামী সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর হতে যাচ্ছে।দেশগুলো হল—বাংলাদেশ, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, ওমান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মুখপাত্র হ্যারি রোক এমন খবর দিয়েছেন।-খবর হিন্দুস্থান টাইমস ও এনডিটিভির
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল—পরবর্তীতে জুলাইয়ে যা আরও সম্প্রসারিত করা হয়েছিল—সোমবার থেকে তা তুলে নেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরন প্রতিরোধে জারি করা হয়েছিল এই বিধিনিষেধ।
বর্তমানে যে ১০টি দেশের ওপর করোনার কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা তুলে নিতে আন্তঃসংস্থার কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছেন দুতার্তে।হ্যারি রোক বলেন, এসব দেশের ভ্রমণকারীরা ফিলিপিন্সে আসার পর অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। উল্লিখিত দেশগুলোর আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের যথাযথ প্রবেশ, করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিন নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
এমন এক সময় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে, যখন দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার ২০ হাজার ৩১০ জনের করোনা সংক্রমণ পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখে।
তবে ফিলিপিন্সে বিদেশি পর্যটকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে না। কূটনীতিক ও ফিলিপিনো নাগরিকদের বিদেশি স্বামী কিংবা স্ত্রী—এ রকম বিশেষ ভিসাধারীরা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে, ফিলিপিন্সে করোনার ডেল্টা ধরনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ হচ্ছে। দেশটিতে করোনার এই ধরনেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারিয়া রোসারিও ভেরগেইরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ডেল্টার কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে। পৌর এলাকাগুলোতে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকারগুলো। দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরে ফিলিপিন্সেই সবচেয়ে বেশি মানুষের সংক্রমণ ঘটেছে।