ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কৈয়াদী মৌজায় এসএ (আরওআর) রেকর্ডীয় জমিতে বন বিভাগের মিথ্যা মামলার ও সিএস গেজেটের ২০ ধারা বাতিল, গেজেট বহির্ভূত ব্যক্তির নামে রেকর্ডকৃত জমি হস্তান্তর, খাজনা-খারিজ চালুর দাবিতে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম নেতৃত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৩০ জুন শুক্রবার সকালে উপজেলার কৈয়াদী সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে মিছিল বের করে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে নারী ও শিশুসহ সমাজের নানা শ্রেণির হাজার খানেক মানুষ অংশ নেয়।
বক্তারা বলেন, আমরা যুগ যুগ ধরে বাপ-দাদার দখলীয় জোত জমিতে বসবাস করতে থাকলেও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এসে আমাদের ১০৯৭.২৪ জমিতে কাজকর্মে বাধা দিচ্ছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, বন বিভাগ তাদের নিজস্ব জমি রক্ষা না করে এলাকার সাধারণ মানুষের বনের জমির পাশে জমিতে কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করছে। কাজ করতে হলে দিতে হয় বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের উৎকোচ। যদি বনের লোকজন অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারেন তাহলে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এসব হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা অত্যাচার বন্ধ করা না হলে আগামীতে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ, মহাসড়ক অবরোধ ও অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে জানান। এ সময় সরকারি ২০ ধারা গেজেট বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম বলেন, যতদিন পর্যন্ত বন বিভাগের গেজেট অবমুক্ত করা না হবে তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বক্তারা আরো বলেন,উক্ত মৌজায় ১০৯৭.২৪ একর আবাদি জমি ২০১২ সালে বন বিভাগের গেজেটভুক্ত হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি,আমরা জমিদারি আমল থেকেই তারা খাজনা পরিশোধ করে আসছি। ভুক্তভোগী জনসাধারণ বলেন, জমিদারের নিকট থেকে পত্তন ও দলিলমূলে এসএ রেকর্ডে মালিকও হয়েছি। নামজারি ও খাজনাদিও পরিশোধ করে আসছি।
হঠাৎ করে ২০১২ সালের বনের গেজেটে কৈয়াদী মৌজার আবাদি জমি বন বিভাগের গেজেটভুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু কিভাবে ওই জমি বন বিভাগের গেজেট ভুক্ত হয় তা আমরা কেও যানি না। বর্তমানে বিআরএস রেকর্ডেও বন বিভাগের নামেই রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল শাহ মোঃ আশরাফুল হক জজ,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ মান্নান মোশায়েদ, ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, ইউনিয়ন ঘাতক দলা নির্মূল কমিটি এস এ আজাহারুল ইসলাম,ভালুকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রবিউল আলম খোকন, ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দেওয়ান (রফিক) ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সায়হাম কবির,ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমুল হক তারা, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন খান, উথুরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আবু ইউসুফ আলী, মিন্টু মিয়াসহ অত্র এলাকার নেতারাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এম এ কাদের সিদ্দিক, সহকারী শিক্ষক চামিয়াদী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়