মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি সব উপজেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফটিকছড়ি ছাড়া সব উপজেলা কম বেশি প্লাবিত হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা। সাতকানিয়ার সব ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষকে সহায়তা করার জন্য চট্টগ্রামের জিওসি ও নৌবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করেছি। ইতোমধ্যে দুই উপজেলায় সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ শুরু করেছে।
এদিকে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ৪০০ টন চাল, শুকনো খাবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুইদিনের মাথায় সেটা অতি ভারি বর্ষণে রূপ নেয়। সোমবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে চলছে।