চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু,চুয়াডাঙ্গা থেকে,৩রা সেপ্টেম্বর 

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট  বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানা এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, হাতবোমা ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। 

 

এই হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অন্যান্য আইনে ০৩টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলোর বিচার শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ আদালত হামলায় জড়িত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। গ্রেফতারকৃত আসামি আলা উদ্দিন হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও বিস্ফোরক বাহক। সে তার সহযোগীদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। ফলে অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয় এবং বেশ কয়েকটি সরকারি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসামি আলাউদ্দিনসহ ৪৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি আলাউদ্দিনকে তিনটি পৃথক মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে মোট ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেন। আসামি আলাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিল। র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি অভিযানকারী দল আত্মগোপনে থাকা কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত করে র‌্যাব।এর পরিপ্রেক্ষিতে ০৩সেপ্টেম্বর২০২৩ তারিখে র‌্যাব-৬ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন, সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে কনভয় আক্রমণ করেছিলেন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় লুকিয়ে আছে । প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬, একটি চৌকস অভিযানকারী দল আজ আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার মোহাম্মদপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এবং কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে শনাক্ত করে। - মোঃ আলাউদ্দিন (৪৩), পিতা. - নিহত মোকছেদ আলী, সাং- কিসমত ইলিশপুর, থানা- কলারোয়া, জেলা- সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।