স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল আহমেদ এর পাঠানো তথ্য চিত্রে বিস্তারিত।। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় চলে দফায় দফায় অগ্নিসংযোগ বোমা বিস্ফোরক বোমাবাজির রাজত্ব। যাকে বলা হয় আতঙ্কের অপর নাম রানিহাটি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এরিয়া একের পর এক ঘটে যাচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কিশোর গ্যাং এরা কারা চাঁপাইনবাবগঞ্জে রামচন্দ্রপুর ক্যাঠা পাড়া ধূমিহায়াতপুর এলাকার মিনহাজ নামের এক যুবককে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। চোখ বেঁধে রেখে লোহার রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গুরুতর আহত মো.মিনহাজ। 

আহত মিনহাজ (৩০) সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরহাট ধূমিহায়াতপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৬টায় রামচন্দ্রপুরহাট বাজারের আলিম টেলিকম নামের একটি দোকানে কর্মরত থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত স্থানে তাকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন গুরুতর আহত মিনহাজ। অভিযোগ রয়েছে,একই এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার ও একাধিক মাদক মামলার আসামী নাদিমের নেতৃত্বে এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে নাদিম ও তার সাথে থাকা ৮-১০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী এই ঘটনা ঘটায়। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আহত মিনহাজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত মিনহাজ জানান,রামচন্দ্রপুরহাটে আলিম টেলিকমের দোকানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৬টি মোটরসাইকেলে এসে আমাকে জোরপূর্বক দোকান থেকে টেনে হিচড়ে বের করে। আমার চোঁখ বেধে মোটর সাইকেলযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে নাদিমের হাতে থাকা পিস্তল ঠেকিয়ে মারে লোহার রড দিয়ে আমার ডান বাম হাতে আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়াও লোহার রড দিয়ে আমার দুই পায়ে আঘাত করে আমার ডান পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় নাদিমের সন্ত্রাসী বাহিনীরা। 

তিনি আরও জানান,দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও বাশের লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারি ভাবে আঘাত করে কাটা রক্তক্ত জখম করে। মারধরের সময় আমি রক্ষা পেতে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে সন্ত্রাসীরা আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। 

অভিযোগ রয়েছে,নাদিম স্থানীয়ভাবে একটি কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ করেন।তার নেতৃত্ব চলে পুরো রামচন্দ্রপুর এরিয়া রয়েছেন তার নামে একাধিক মাদকের মামলা এমনকি তার বিরুদ্ধে বিরোধে।। কেউ কথা বললেই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মারধর করে। তার নামে একাধিক কিডন্যাপিং গুম রাহাজানি ও সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। এবিষয়ে কথা বলতে নাদিমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

মিনহাজের স্বজনরা জানান,আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই। সন্ত্রাসী কায়দায় দিনদুপুরে এভাবে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করবে,এটা সভ্য সমাজে হয়না। তাকে উপযুক্ত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে সকল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তার পরিবারের। নাদিম ছাড়াও তার সহযোগী হিসেবে এই ঘটনায় জড়িত ছিল রামচন্দ্রপুরহাট এলাকার,শাহিন,শরিফ,আবু,সজিব,দুলাল আলামিন শুভ, শ্রাবণ আলী,জীবন, মেহেদী,আলামিন মুটু,নাইমসহ আরও অনেকেই তাদের ভারি দলবল। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান,রাতেই থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে।