নাদিয়া রিফাত "বৃষ্টি মানে রিমঝিম শব্দ, কবি মনকে করে জব্দ।" আকাশ মেঘলা কালো মেঘ উঁকি মারছে। সূর্য মামার আজ তেজ নেই।কলেজের জন্য তৈরি হয়ে নিলাম ।ব্যাগে নিলাম আমার প্রিয় সঙ্গী ছাতা।পথে বান্ধবী জাকিয়া অপেক্ষা করছিলো ।দুজনে একসাথে রওনা দিলাম কলেজের উদ্দেশ্যে । ইভার সাথে রাস্তায় দেখা হয়ে গেলো।তিনজনে একসাথে দাড়ালাম ,কিন্তু গাড়ি পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলো। গাড়ি পেলাম অনেক কষ্টে তিনজনে চেপে বসলাম।বৃষ্টির বেগ বাড়তে শুরু করে। গাড়ির মধ্যে ও পুরোটা ভিজে গেছি।কলেজের সামনে নামলাম।ভিজে একাকার অবস্থা আমাদের।বান্ধবীরা তো বাড়ি চলে যেতে চাইলো।আবার ভাবলো চলে যখন এসেছি ক্লাস করে যায়।তখন জুম বৃষ্টি , বৃষ্টি বিলাস করতে করতে, কলেজ গেলাম ভিজতে ভিজতে, বলেছিলো কোনো এক কবি বৃষ্টিতে ভিজলে বিষন্নতা দূর হয়। এই কথাটি পরলো মনে হয়ে গেলাম আমি আনমনে। ভিজেতো গেছি তাও খেয়াল রাখতে হবে বই যাতে না ভিজে।চাইলে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দের তালে পারছিনা সব ছেড়ে ছুটতে।ইচ্ছে তো হচ্ছে খোলা চুলে বৃষ্টি বিলাসের সাক্ষী হতে।মনের সব বিষন্নতা দূর করতে।উপায় যে নেই কারণ আমি কলেজে। ক্লাসে নুরুল স্যার ক্লাস করাচ্ছিলো। স্যার বললো তোমরা তো পুরো ভিজে গেছো।আরো অনেক কিছু বলেছিলো।পরীক্ষার পরের ক্লাস তাই তেমন চাপ নেই।আর বৃষ্টির জন্য কেউ আসেনি তেমন।আমাত বান্ধবীদের সাথে অভিমান ছিলো।ঐদিন সব মিটিয়ে নিলাম। "বৃষ্টি বিলাস আজ সাক্ষী হলো বন্ধত্বের, অবসান হলো রাগ অভিমানের। প্রমাণ হলো বন্ধুত্ব সেরা, সবসময় পাশে থাকবো মোরা।", বৃষ্টির দিনে বারান্দায় দাড়িয়ে ।বৃষ্টি দেখার মজায় আলাদা।আর বৃষ্টির পানি নিয়ে একে অপরের দিকে বৃষ্টির পানি ছুড়াছুড়ি করা তো অন্য ব্যপার।আর গরম গরম খিচুড়ি হলে তো আর কথা নেই।বাড়ি ফিরলাম কলেজ থেকে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে। ছাদে আমি গেলাম বৃষ্টিতে ভিজবো বলে বৃষ্টি থেমে গেলো আমার কথার ছলে।মন খারাপ করে রুমে চলে আসলাম কবিতার ঝুলি নিয়ে।বৃষ্টির দিনে কবিতা লিখতে ভালো লাগে আমার । আমার কবিতার লাইন, বৃষ্টি বাদল এই দিনে , হয়ে যায় আনমনে । বৃষ্টি রিমঝিম শব্দে মন নাচে কবিতার ছন্দে। মেঘ থেকে সৃষ্টি , এই রিমঝিম বৃষ্টি। এইভাবে সন্ধ্যে হয়ে এলো।তারপর রাত এইভাবে বর্ষন মুখোর একটি দিনের সাক্ষী হতে হতে আমার দিনটিও শেষ হলো।শেষ হয়েও থেকে যাবে গল্পের রেশ।