ডেস্কঃ বিয়ের কিছুদিন কিংবা কয়েক বছর পরই দাম্পত্য কলহে ঘর ভাঙছে, স্বামী-স্ত্রীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে। স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে স্বামী হয়তো পাশের বাড়ির কোনও সুন্দরী নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। আবার স্বামীর দায়িত্বহীনতা ও অক্ষমতা হয়তো কোনও কোনও স্ত্রীকে পরপুরুষের দিকে আকৃষ্ট করছে।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শতভাগ না হলেও অন্তত ৭৭ ভাগ নারী প্রেমিক কিংবা স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে অন্য পুরুষকে সময় দেয়। যেখানে প্রতিবেশী কোনও পুরুষের সঙ্গেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলের নারীরা।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পরকীয়ার জন্য ডেটিং অ্যাপগুলোতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে। বর্তমানে এই ডেটিং অ্যাপের সদস্য সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি। সদস্যদের অনেকের বয়সই ৩৪ থেকে ৩৯ বছর। যেখানে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- বিবাহিত নারীরা কেন পরপুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হন? কিসের টানে কিসের অভাবে তারা নিজের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করেন? দাম্পত্য কলহ, অভাব-অনটন নাকি অন্য কিছু?
এ বিষয়ে সমীক্ষা বলছে, অনেক নারীই বিয়ের পর দীর্ঘ জীবন স্বামীর সঙ্গে কাটাতে চান না। তাদের মধ্যে এক ধরনের একঘেয়েমি চলে আসে। তাই নতুন কারও সঙ্গ পেতেই তারা পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
তথ্য মতে, প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ৩১ শতাংশ নারী। ৫২ থেকে ৫৭ শতাংশ নারী বিজনেস ট্রিপের সময় অন্য পুরুষের শয্যাসঙ্গিনী হন।
আর এই পরকীয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে। বাড়ছে পারস্পরিক বিশ্বাস ভালোবাসা আর আস্থা। কতশত সুখের সংসার পুড়ে ছাড়খার হচ্ছে।
সম্প্রতি মিসৌরি টেস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক অ্যালিসিয়া ওয়াকার প্রায় ১০০০ বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখিয়েছেন, প্রত্যেক সুস্থ ও স্বাভাবিক নারী সপ্তাহে অন্তত দু‘বার শারীরিক সম্পর্কের চাহিদা অনুভব করেন। যখন কোনও নারী বিবাহিত জীবনে শারীরিক অপূর্ণতা অনুভব করেন তখনই হিতে বিপরীত ঘটে। তখনই ঘরের নারী বাইরের পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরকীয়ায় জড়ান।