করোনার কারণে অঘোষিত লকডাউনের কারনে ওষুধ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কিছু দোকান ছাড়া সব বন্ধ। এই সুযোগে রাজধানীর কলেজগেটে বিল্লাহ ফার্মায় বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি হয়েছে। বুধবার (১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার দিকে রাজধানী মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকার বিল্লাহ ফার্মায় এই ঘটনা ঘটে।
দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ফাকা সড়ক। হঠাৎ একটি ট্রাক দাঁড়ায় ওষুধের দোকানটির সামনে। ট্রাক থেকে নেমে আসেন তিনজন। তাদের মাথায় গামছা বাঁধা, মাস্ক মুখে পরা। ট্রাক থামিয়ে মুহূর্তের মধ্যে দুজন চাপাতি ও একজন রড নিয়ে দোকানে ঢুকে পড়েন। এসময় দোকানে একজন ক্রেতাও ছিলেন। তাকেও ভয় দেখিয়ে, ধাকা মারতে মারতে ভেতরে নিয়ে যান তারা। শুরুতেই ফার্মেসিতে থাকা ল্যাপটপ নিয়ে ট্রাকে রেখে আসে ডাকাতদের এক সদস্য। ফার্মেসির ভেতরে ছিলেন মালিক নাহিদ বিল্লাহ ও পাশের ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ। পরে আরমান, সোহাগ ও নাহিদকে মারতে মারতে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। এ সময় আরমানের পকেটের মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে নেয় তারা। এরপর নগদ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। মাত্র ২ মিনিটের মধ্যেই ডাকাতি করে চলে যায় তারা। ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি সোহাগ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দোকান বন্ধ করছিলেন নাহিদ স্যার। আমি ভিতরে পানির বোতলের জন্য যাই। এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে দুজনের হাতে চাপাতি একজনের হাতে রড সবার মুখে মাস্ক পরা। কিছু করার আগেই তারা আমাদের মারতে শুরু করে। পরে সবাইকে পিছনে নিয়ে যায়। অন্য দুজনে ল্যাপটপ ও ক্যাশের টাকা নিয়ে নেয়।
ফার্মেসির মালিক নাহিদ বিল্লাহ বলেন, ‘দোকান বন্ধ করার জন্য ঝাড়ু দেওয়া হচ্ছিলো। এর মধ্যে একজন ওষুধ নিতে আসে। আমি ওষুধ দিচ্ছিলাম এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে কাস্টমারকে চাপাতি দিয়ে মারতে শুরু করে আর একজন আমার ল্যাপটপ নিয়ে নেয়। কাস্টমারকে যখন মারছে আমি বাধা দেওয়াতে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। ক্যাশে থাকা টাকাও নিয়ে গেছে। চলে যাওয়ার পর দৌড়ে বের হলেও ট্রাক দেখতে পাইনি। পরে মোটরসাইকেল দিয়ে শ্যামলী পুলিশ বক্স পর্যন্ত গেলেও পাইনি। আমি মামলা করবো।’ এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ সময় সংবাদকে বলেন, আমরা ওই ঘটনা নিয়ে কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।