রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা সেই পরিচয়হীন নারীর হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে এবং সন্ধিগ্ধ হত্যাকারীকে আটকও করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতের নাম আনসার আলী। তিনি স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন।
নবগঠিত রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল শনিবার সকাল ০৮:৩০ টায় রাজধানীর গ্রিনরোড থেকে আনসার আলীকে গ্রেফতার করেছেন।
রমনা ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মিশু বিশ্বাস পিপিএম ডিএমপি নিউজকে জানান, গত শুক্রবার সকাল ৪:৩০ টায় গ্রিনরোড এলাকার পাকা রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাতনামা নারীর (৪০) মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। মরদেহের নাক-মুখ দিয়ে কালচে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল, শরীরের কামিজ ছেঁড়া, গলায় ওড়না ও পাটের সুতা দিয়ে গিট দেওয়া ছিল।
তিনি বলেন, অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করেন গোয়েন্দা বিভাগ। আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ির নৈশ প্রহরী আনসার আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিশু বিশ্বাস পিপিএম আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আনসার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটিরত থাকা অবস্থায় মেয়েটি গেটের কাছে আসলে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন তিনি এবং এক পর্যায়ে আনসার আলী নারীকে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু “অর্থনৈতিক বিষয়” নিয়ে দুজনের কথা কাঁটাকাটি হলে একপর্যায়ে আনসার আলী ঐ নারীর গলা চেপে ধরেন এবং বাথরুমের দেয়ালের সাথে ধাক্কা মারেন। আঘাতে মুখ ও গাল থেকে রক্ত বের হয়ে বাথরুমেই মৃত্যুবরণ করেন ওই নারী। আনসার আলী রাতেই মরদেহের গলায় ওড়না ও পাটের রশি পেঁচিয়ে টেনে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন।
পুলিশ জানান, গ্রেফতারকৃত আনসার আলী স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।