করোনার ভ্যাকসিন এই বছরের শেষের দিকে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্ট্যানলি এরক। সিএনবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এসময় করোনা মহামারিতে সামনের সারির কর্মীরা সবার আগে ভ্যাকসিন পাবেন এবং তা উৎপাদন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও ভারতে বলেও জানান তিনি।
ভ্যাকসিনের দাম প্রসঙ্গে স্ট্যানলি বলেন, তাঁর সংস্থার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনকে সাশ্রয়ী দিক বিবেচনায় ধরে স্তরভিত্তিক পদ্ধতিতে দাম নির্ধারণ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, ভ্যাকসিন তৈরি হলে তা সবার আগে সামনের সারির কর্মী, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের দেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হবেন। আমাদের আশানুরূপ নিরাপত্তা ও রোগ প্রতিরোধ শক্তিশালী করার ক্ষমতা যদি ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষার তথ্য দেখাতে পারে, আমরা যদি এটার কার্যকারিতার প্রমাণ দেখতে পাই, তবে চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের কোনো এক সময় ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
তিনি জানান,পরের বছরের জন্য আমাদের লক্ষ্যটি বেশ উচ্চাভিলাষী। তবে আমরা মনে করি, তা করতে পারব। এক বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মহাদেশে এটি উৎপাদন করা হবে।
সোমবার থেকে নোভাভ্যাক্স করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রথম দফার পরীক্ষা শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভ্যাকসিন একজনের শরীরে প্রয়োগ করে এই পরীক্ষা শুরু করে। জুলাই মাসে এর ফল পাওয়া যেতে পারে।
বিশ্বজুড়ে ১০০ টির বেশি ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ চলছে। এর মধ্যে যে কয়েকটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার পর্যায়ে পৌঁছেছে, এর মধ্যে নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিনটি অন্যতম।