দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার চট্টগ্রামে জেলা পর্যায়ে দুপুর থেকে প্রাথমিক তালিকায় থাকা ৫শ জনকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
যাদের টিকা দেওয়ার রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ নেই বা এনআইডি নেই তাদেরও টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় টিকা প্রাপ্তির ঘোষণায় উচ্ছসিত এই জনগোষ্ঠী।
নিজ উদ্যোগেই ভ্যাকসিনের খবর প্রচার করেছেন তারা। প্রথম ধাপে ৫শ জনকে টিকার আওতায় আনা হলেও ধাপে ধাপে বাকিদেরও টিকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।
দেশে এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজার—এই চার ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ১ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। নয় মাস পেরোলেও টিকা কর্মসূচিতে এতো দিন ঠাঁই পাননি এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো।
দেশে হিজড়ার সংখ্যা কত—এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো হালনাগাদ তথ্য বা জরিপ নেই। তবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ২০১৩ সালের করা এক জরিপ বলছে, এদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে হিজড়াদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের হিসাবে, সারা দেশে এই সংখ্যা লাখ ছাড়াবে।
২০১৯ সালে এই হিজড়ারা স্বতন্ত্র লিঙ্গীয় পরিচয়ে ভোটাধিকার লাভ করে। এখন তাঁরা পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্রে লিঙ্গীয় পরিচয় হিসেবে হিজড়া উল্লেখ করতে পারেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে লিঙ্গীয় স্বীকৃতি লাভ করলেও তারা এখন পর্যন্ত সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। কারণ, তাঁদের অধিকাংশেরই জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় নেই।