নারায়ণগঞ্জের আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা অপতৎপরতা শুরু হয়ে গেছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনের আগে ভোটের অধিকার হরণের জন্য দুজন প্রাথী ভানুমতির খেলা দেখাতে দৌড় ঝাপ শুরু করেছেন। তাদের একজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি ও অপরজন সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। তবে তাদের ভানুমতির খেলা বন্ধ করার জন্য তৎপর রয়েছেন সায়েম আহমেদ।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক ইউনিয়নের নির্বাচন মাত্র সাত থেকে আট মাস বাকি! এরই মধ্যে চেয়ারম্যান পদের জন্য মতিউর রহমান মতি ও জাকির হোসেন লবিং শুরু করেছেন। তারা প্রাথীতা লাভের জন্য সদর ও বন্দরের এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের কাছে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তবে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবন সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় কালে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যান কে উদ্দেশ্য করে বলেন আমি আপনাদের মাঝে কোন ধরনের রেষারেশি দেখতে চাই না। কে নির্বাচন করবেন না করবেন তা নির্বাচন আসলে দেখা যাবে। নির্বাচন আসলে আপনারা নাও পেতে পারেন। অন্যজন নির্বাচন করতে পারে। এত আশা কইরেন না। এদিকে আলীরটেক ইউনিয়ন এলাকাবাসীর অভিযোগ তারা দুজনেই ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চান। তাই দুজনেই দুই এমপির আশীর্বাদ চান জনগণের ভোট চান না। এতে যা করতে হবে তারা দুই জন তাই করতে প্রস্তুত। এমন ও জন শ্রুতি শোনা যাচ্ছে এর জন্য তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করতে প্রস্তুত। তাদের একটাই আশা ভরসা ভোট যাতে না হয়! যা খরচ করবো উপরে করবো! এলাকাবাসী আরোও জানান তাদের দুইজনের এক জনকেও এলাকাবাসীর কোন সামাজিক বিপদে আপদে পান না! মাঝে মাঝে অতিথি পাখির মতো এলাকায় আসেন জনগণের সেবা বলতে তারা কিছুই পান না! আর মতি চেয়ারম্যানের অনুসারিরা এলাকায় বলে বেড়ান যত দিন সেলিম ওসমান এমপি থাকবেন ততো দিন আমাদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান থাকবেন। জাকির হোসেন বছরে এক বার রমজানে জাকাত ফান্ড থেকে ভুট মুড়ি ও আর্থিক সহযোগিতা করেই খেন্তু সামাজিক ভাবে সব দিক থেকে আমরা বঞ্চিত ষ তবে যা কিছু পেয়েছি সেটা হলো দানবীর এমপি আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমানের সাহায্য সহযোগিতা এজন্য আমরা তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আলীরটেক ইউপিবাসি বলেন তার জন্য আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে নেক হায়াত দান করেন, তবে তাদের একটাই দাবী এমপি সাহেব যেন আমাদের ভোটাধিকার হরণ না করে সে দিকে একটু খেয়াল রাখার আহ্বান করবো। তাদের ভাষায় বিনা ভোটে কাউকে যেন আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করা না হয়। বিনা ভোটের চেয়ারম্যান হলে আমাদেরকে কেউ কোন মূল্যায়ন করে না! তারা বলে তোদের ভোটে আমি চেয়ারম্যান হই নাই বেশি ফালাইওনা, লাফদিওনা মাল দিয়ে কিনেছি এই সিংহাসন আমার তোমাদের এতো বুঝার দরকার নাই ষ তাই আমরা আলীরটেক বাসী এক জোট আগামীতে দিবো ভোট। তবে এলাকা সূত্রে জানাগেছে গত বারের চেয়ারম্যান প্রাথী মোঃ সায়েম আহম্মেদ আবারও প্রাথী হবেন বলে এলাকায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তিনি সব সময় গণ্য মান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা বিচার শালিসির মধ্যেমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের পক্ষে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সুখ দুঃখে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। সরে জমিনে আলীরটেক ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এবার তারা বিনা ভোটে কাউকে চেয়ারম্যান হতে দিবেন না, তাদের দাবী চেয়ারম্যান হতে হবে সুষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে সে যেই হোক না কেন তাকেই আমরা মেনে নিবো ভোট হরনের ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না । এবিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি বক্তব্যে জন্য একাধিকবার তার মুঠ ফোনে কল করার চেষ্ঠা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সাবেক চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন মুঠ ফোনে বলেন, আপনারা খোজ নিয়ে দেখেন কার জনপ্রিয়তা আছে। নির্বাচন আসলে দেখবেন আলীরটেক বাসী আমাকে চায় মতি চেয়ারম্যানকে নয়। কিন্তু তাকে নিরপেক্ষ ও জনগণে ভোটাধিকার মাধ্যমে সুষ্ঠ ভোটের নির্বাচনের বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হহলে সে এরাকার বাসীর সাথে একমত পোষণের বিষয়টি এরিয়ে যান। এব্যাপারে মোঃ সায়েম আহম্মেদের মুঠো ফোনে কল করলে তিনি জানান যে আগামীতে ইনশাআল্লাহ আলীরটেকে নির্বাচন হবে গত বারেও মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এবার ও করবো। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমাদের সকলের শ্রদ্বেয় অভিবাবক মাননীয় এমপি সেলিম ওসমান আমাদের ইউনিয়নে ভোটাধিকার মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠ ব্যবস্থা করবেন। আমারা এলাকাবাসির পক্ষ থেকে মাননীয় এমপি মহোদয় এর সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।