পর্যটকদের জন্য পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীর তীরে তৈরি হচ্ছে ওয়াক ওয়ে। আর এ ওয়াক ওয়ের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য গ্যালারিও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে ওয়াক ওয়ে ও গ্যালারি তৈরি করার জন্য বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নারের পশ্চিম সীমানা গেট সংলগ্ন মহানন্দা নদীর তীরে থাকা দোকানপাট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অন্যত্র (পিকনিক কর্নারের অভ্যন্তরে) স্থানান্তর করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মানুষের জন্য খারাপ হলেও প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে এসেছে করোনা ভাইরাস।
সবাই যখন গৃহবন্দি হয়ে আছে, তখন প্রকৃতি সেজেছে আপন সাজে। ফিরে পেয়েছে সতেজতা।
তবে পর্যটন নগর খ্যাত তেঁতুলিয়াকে আরো নতুন সাঝে সাজাতে এবং করোনার এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি পর্যটকদের প্রকৃত বিনোদন দিতে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো সংলগ্ন পিকনিক কর্নারে নদীর তীরবর্তী স্থানে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াক ওয়ে ও গ্যালারি।
মূলত বাংলাদেশের সর্বোত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত প্রত্যন্ত একটি উপজেলা এ তেঁতুলিয়া।
ভৌগলিক অবস্থাগত কারণে পর্যটন খাতে তেঁতুলিয়া উপজেলা সারাদেশে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়ত দেশী-বিদেশি ভ্রমণপিপাসু হাজারো পর্যটক তেঁতুলিয়া উপজেলা দর্শনের জন্য ভ্রমণ করে থাকেন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে দুই দেশকে বিভক্তকারী নদী মহানন্দা। মহানন্দা নদী বাংলাদেশে গঙ্গার একমাত্র উপনদী। এটি বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র মহানন্দা নদী ঘেঁষে সুউচ্চ টিলার ওপর অবস্থিত উপজেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্নার ও ডাকবাংলো।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, পর্যটকেরা এখানে এসে যেন বিনোদন পান এবং তারা যেন মহানন্দা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, একই সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতকে তারা যেন ডাকবাংলো পিকনিক কর্নার থেকে ভালোভাবে দেখতে পান, সেজন্য ওয়াক ওয়ে ও গ্যালারি তৈরি করা হবে। আর এজন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে।
পিকনিক কর্নারের পশ্চিম সীমানায় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে শীতকালের শুরুতে (অক্টোবর-নভেম্বর) ও শীতের শেষে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) এবং অন্যান্য সময়ে মেঘমুক্ত নীল আকাশে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিমালয় ও তিব্বত পর্বতমালার অংশ বিশেষ তুষার ও বরফ আচ্ছাদিত সাদা শুভ্র তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় রূপবৈচিত্র্য খুব চমৎকারভাবে উপভোগ করা যায় বলেও তিনি জানান।