শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অথচ অনুমতি না থাকলেও ওরশের নামে চলছে ভন্ডামী
13, February, 2022, 1:12:51:PM
স্টাপ রিপোর্টারঃ বন্দর ইউনিয়ন চৌধুরীবাড়ি এলাকায় মহামারী উমিক্রনের সর্তকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারী আদেশ অমান্য করে বিনা অনুমতিতে হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফের ওরশের নামে উচ্চস্বরে গান বাজনার মধ্য দিয়ে চলছে ভন্ডামী। পাশাপাশি ওরশ মোবারককে পুঁজি করে চলছে মেলা বানিজ্য। সেই সাথে প্রকাশ্যেই মাজারের ১’শ গজ দূরে চান্দিনার আবরনে ঢেকে দেদারসে বসছে মাদকের হাট। ফলে এ অঞ্চলের উঠতি যুবকরা মাদকে ঝুকে পড়ছে। স্কুল পড়য়া শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। মাজার কমিটির সহসভাপতি মোতালেব মেম্বারের নেতৃত্বে এসব চলছে বলে অভিযোগ কমিটির একাংশ সদস্য ও এলাকাবাসীর। হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফ কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফকে অপবিত্র করার মুল নায়ক হচ্ছে মোতালেব মেম্বার। মোতালেব মেম্বার এই কমিটিতে প্রবেশ করার পরই নানা অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপ হচ্ছে দরবারে। কেউ কথা বলতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। দরবারের আয়-ব্যয়ের হিসাব সে একাই রাখে। ইতিপূর্বেও সে দরবারের একটি অনুদানের হিসেব নিয়ে গড়মিল করেছে। এখন ওরসের নামে মোতালিব মেম্বারের নেতৃত্বে চলছে বেহায়াপনা। মেলার অনুমতি নাই তারপরও সে মেলার স্টল প্রতি ১০হাজার টাকা নিয়ে প্রায় ৩০টি দোকান বসিয়েছে। কমিটির সদস্যদের সাথে কোন আলোচনা না করেই সে যা ইচ্ছে তাই করছে। শুনেছি সে প্রশাসনের লোকদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে। হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফকে অপবিত্র করছে এই মোতালেব মেম্বার। আমরা এই অসাধু মোতালিব মেম্বাররের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা দাবী করছি। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, চৌধুরীবাড়ি এলাকায় ৩ দিন ব্যাপী হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফের ওরসের আয়োজন করেছে ওরশ কমিটি। গত রাতে এই ওরশকে কেন্দ্র করে একাধিক মাইক ঝুলানো হয়েছে। আর রাত একটু গভীর হলে এই মাইকের আওয়াজ আরো দূরবর্তী এলাকায় চলে যাচ্ছে। এতে করে এলাকার শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছেনা। পাশাপাশি এই মহামারীর সময়ে যেখানে স্কুল কলেজ বন্ধ সেখানে ওরসকে কেন্দ্র করে এমন ভন্ডামীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ওরসের নামে নারীদেরও বেহায়াপনা চলে। চলে গাঁজার আসর। মাজারের পাশের রোমে জলসা হয় আর জলসাতে চলে নারী ও পুরুষের অবাধ নীলা কীর্ত্তন। রাত গভীর হলেই চলে গাঁজা সেবনের রমরমা আসর। কমিটির এক অসাধু ব্যাক্তি মোতালেব মেম্বারের নেতৃত্বে এসব অপকর্ম হয়। যদিও সরকারী কোন নির্দেশনা নাই সেখানে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোতালেব ম্বোরের মত লোক এসব করতে কিভাবে সাহস পায় । প্রশাসনের কাছে দাবী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মাইকগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবার শরিফ কমিটির সাধারন সম্পাদক এ্যাড. তাজুল ইসলাম বলেন, হযরত ইলিয়াস শাহ ছালাবাবা দরবারে ওরশের সময় এসে গেছে। দেশে যেহেতু মহামারী ওমিক্রনের অস্থিরতা চলছে সেহেতু এই মুহুর্তে সরকারী অনুমতি না দেয়াই বাঞ্চনীয়। তবে ছোট্রপরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভক্তবৃন্দরা শুধু দরবারে শ্রদ্ধা রেখে ওরশ পালন করতে হবে। কেউ যদি ওরশের নামে হযরত ইলিয়াস শাহ ছালা বাবার দরবারকে অবিত্র করতে মেলা বানিজ্য করতে চায় তার বিরুদ্ধে আমি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন,মহামারীর সময়ে ওরসের অনুমতির কোন কাগজ আমরা পাই নাই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।