মেয়েকে স্বামীর ঘর থেকে নিয়ে অন্য ছেলের কাছে বিয়ে দেয়ার জন্য মায়ের আদালতে মামলা
16, February, 2022, 2:02:54:PM
ভালুকা প্রতিনিধি ভালুকা
উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে মোঃ রুবেল মিয়ার সাথে, পার্শ্ববর্তী টাংঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের ফুলমালির চালা গ্ৰামের মোঃ ফরহাদ মিয়া বড় মেয়ে ফারজানা আক্তারের পারিবারিক ভাবে 2020 সালে বিয়ে হয় এই দম্পতি । বিবাহিত জীবন ভালোই চলছিল তাদের সংসার জীবন কিন্তু হঠাৎ ফারজানার স্বামী একটি মিথ্যা মামলায় জেলা হাজতে জাই স্বামীকে জামিন করানোর জন্য ফারজানার বাবার পরিচালিত নিজ গ্ৰামের মালিরচালার , উকিল উসমান গনির সাথে ফারজানার পরিচয় হয়, সেই সুবাদে উসমান গনি ফারজানা কে ছোট বোন বানায়,তার পর ভালোই চলছিল ছোট বোন ও বড় ভাইয়ের সম্পর্ক, কয়েক মাস পূর্বে ফারজানা তাহার বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাই সেখানে বড় ভাই উসমান গনির সাথে দেখা হয় তখন উসমান গনি ফারজানা কে স্ত্রী বলে দাবি করে , উসমান গনির এই কুপ্রস্তাবের কথা শুনে ফারজানা তার মায়ের সাথে বলে দেই , তখন ফারজানার মা শাহিনা আক্তার বলে , তুই উসমান গনির সাথে বিয়ে না বসলে আমাদের কে মিথ্যা মামলা দিবে, উকিল আমাদের বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে আমাকে হুমকি দিয়েছে। মায়ের সাথে কথা শেষ করে ফারজানা তাদের বাড়ি থেকে স্বামী রুবেল মিয়ার বাড়ি বনগাঁও গ্রামে চলে আসে। চলে আসার দিন রাত তিন টার সময় ফারজানাকে নিতে পুলিশ সহ শাহিনা আক্তার ও উকিল উসমান গনি রুবেলের বাড়িতে উপস্থিত হয় ফারজানা স্বামীর বাড়ি থেকে তাদের সাথে নাম যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। একপর্যায়ে ফারজানা বলে আমাকে নিয়ে গেলে আমি আত্মহত্যা করব এই কথা শুনে ফারজানার মা শাহিনা আক্তার পুলিশসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ফারজানার মা শাহিনা আক্তার বাদী হয়ে 2 ফেব্রুয়ারি 2022 তারিখে মোকাম টাংঙ্গাইলের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের 2000 সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী / ২০০৩) এর ৭/৯এর ১ ধারায় একটি মিথ্যা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে মুঠোফোনে ফারজানার বাবা ফরহাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার মেয়েকে পার্শ্ববর্তী উপজেলার বনগাঁও গ্রামে রুবেল মিয়ার কাছে 2020 সালের পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেই , আমার স্ত্রী আমাকে না জানিয়ে মেয়ের শ্বশুর শাশুড়ি ও জামাদের নামে মামলা করেছে তা আমি শুনেছি। এ বিষয়ে ফুলমালির চালা গ্ৰামের মেম্বার নান্নু হাজী বলেন আমার সাথে কোন মেয়ে পক্ষ কোন লোক যোগাযোগ করে নাই তবে ছেলেপক্ষ রা যোগাযোগ করেছে , আমি মেয়ের বাবাকে ফোন দিয়ে আমার কাছে এনে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনাদের মেয়েকে কেন সংসার করতে দিবেন না এবং এতকিছু করলে আমাকে তো কিছু জানাইলে না মেয়ের মা উত্তর দিয়েছে আমি জানি আপনার কাছে আসলে আপনি আমার মেয়েকে স্বামীর ঘরে রাখার জন্য বলবেন তাই আমি আপনার কাছে আসি নাই আমি আইনের কাছে গেছি। এ বিষয়ে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত শিকদার বলেন মেয়ে পক্ষ আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করে নাই, তবে ছেলেপক্ষ ছেলের বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি অবগত করেছেন । এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার বলেন , আমি ভালুকা থানায় একটি মামলা করেছি আমি মামলার সঠিক তদন্ত ও আইনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।