শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন শিক্ষামন্ত্রী
18, February, 2022, 8:33:31:PM
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২২শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন কাটাতে পারবেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ২০২৫ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে এই কারিকুলাম সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন কারিকুলামে স্কুল-কলেজে শুক্র ও শনিবার দু`দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। আগে ছুটি ছিল শুধু শুক্রবার, এখন শনিবারও ছুটি থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার ছুটি রাখা হয় না। এখন থেকে সাপ্তাহিক ছুটি দু`দিন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি, একজন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর সপ্তাহে দুইটা দিন ছুটি পেলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপর থেকে চাপ কমিয়ে আনতে এবং পড়াশোনার পরিবেশ আরও আনন্দময় করে তুলতে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম (কারিকুলাম) অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
এই কারিকুলামে প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। এই চার ক্লাসে শিক্ষার্থীদের শুধু শিখনকালীন মূল্যায়ন করা হবে। চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৪০ শতাংশ নম্বরের জন্য পরীক্ষা দেবেন, বাকি ৬০ শতাংশ নম্বর আসবে তাদের শিখনকালীন মূল্যায়নের মাধ্যমে। নবম-দশমে ৫০ শতাংশ নম্বরের জন্য পরীক্ষা, বাকি ৫০ শতাংশ নম্বর শিখনকালীন এবং একাদশ-দ্বাদশে ৭০ শতাংশ নম্বর পরীক্ষা এবং ৩০ শতাংশ নম্বর শিখনকালীন মূল্যায়নে দেয়া হবে। পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে শিখনকালীন মূল্যায়ন যোগ করে মূল ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানায়, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করার কথা। আর ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলাম ট্রাইআউট ২২শে ফেব্র“য়ারি থেকে শুরু হবে। প্রাথমিকে মার্চ থেকে শুরু হবে। মাধ্যমিকে ৬২টি এবং প্রাথমিকেও একই সংখ্যায় করার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যেগুলো জাতীয় দিবস, সেই দিনে খুলে রাখার কথা ভাবিনি। জাতীয় দিবসে অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান হয় না। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।