রূপগঞ্জে প্রায় অর্ধশতাধিক ডাইং কারখানায় অবৈধ ভাবে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসকল কারখানাগুলোর গ্যাস চুরি প্রতিরোধ করার যেন কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ রয়েছে নিরব। স্থানীয় নেতাদের মাসে ১৫হাজার টাকা দিয়ে ২৯টি ডাইং কারখানায় এই গ্যাস চুরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার। এতে করে সরকার প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সচেতনমহল মনে করছেন।
এদিকে এসব ডাইং কারখানাগুলোতে অবাধে চোরাই বা অবৈধ পন্থায় গ্যাস ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন এলাকার আবাসিক লাইনে পড়ছে তীব্র গ্যাস সংকট। ডাইং কারখানাগুলো উপজেলার কুমারটেক, আধুরীয়া, মাহনা, কেশরাব ও মঠখোলা এলাকায় গড়ে উঠেছে। চোরাই বা অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা হল কুমারটেক এলাকার বাদশা মেম্বার, আলম, আলী আহমেদের ছেলে রবিউল, বাতেনের ছেলে বিল্লাল হোসেন, আরজু মিয়ার ছেলে সফিক, সিদ্দিকের ছেলে তোবারক, শাহ জাহানের ছেলে রুহুল আমিন, সোনা মিয়ার ছেলে হারুন, আব্দুল মতিনের ছেলে দেলোয়ার, কুটু মিয়ার ছেলে তোতা মিয়া, কেশরাব এলাকার দীন ইসলাম, বাবুল, মকবুল, নাসু মিয়া, মঠখোলা এলাকার সবুজ মিয়া, মাহনা এলাকার শাহিন, রফিক, মোবারক আধুরীয়া এলাকার রাসেল মিয়া।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশকে মাসে মাসে টাকা দিয়েই এসকল কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এসব অবৈধ সংযোগকারীরা গ্যাস ব্যবহার করে তিতাসের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করছে বলে ধারনা এলাকাবাসীদের। এসকল ডাইং কারখানায় চোরাই বা অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের ফলে গ্যাস সংকটে পড়ছে আবাসিক লাইনের গ্রাহকরা। অন্যদিকে লাভবান হচ্ছে ডাইং কারখানার অসাধু মালিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই অবৈধ বা চোরাই গ্যাস ব্যবহার বন্ধের কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এধরনের সংবাদ পেয়েও রহস্যজনক নিরব ভুমিকা পালন করছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্তব্যরত কর্তাব্যক্তিরা বলেন, ডাইং কারখানায় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টির বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ নেই। তবে যারা অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ বলছে এগুলো বন্ধ করতে গ্যাস কর্তৃপক্ষকে সোচ্চার হতে হবে।