রূপগঞ্জে এক মহিলা লীগ নেত্রীর ঘরবাড়ি ফালগুন মাসেও ডুবে আছে পানির নীচে। এলাকার ঘরবাড়ি ও হোটেল রেস্তোরার মলমুত্র, ময়লা পানিতে ডুবে বাড়িতে যাওয়া আসার রাস্তা নষ্ট হয়েছে। বাড়িতে ঢুকার রাস্তা না থাকায় নেত্রী আমেনার বাড়িসহ আশপাশের অনেকের বাড়িই পানির নীচে ডুবে গেছে। এখানে বসবাসরত পরিবারের লোকজনদের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে দেখা গেছে। এরা পানি বন্ধি হয়ে পড়ায় নানা ধরনের রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
গতকাল অভিযোগের ভিত্তিতে ডহরগাঁও গিয়ে দেখা যায় এলাকার মৃত আছান উল্লাহর স্ত্রী আমেনা বেগমের (৪৫) বাড়ির চারপাশে পচাঁ পানিতে মলমূত্র ও ময়লা আবর্কজনা ভাসচে।
এই পঁচা মলমূত্রে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গন্ধ।
আমেনা জানান তিনি কয়েক বছর আগে যে শুকনা জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে, সেখানে এখন থৈথৈ পানি। দূর থেকে মনে হয় পুকুরের মধ্যে বাড়ি। ঐ নেত্রীর বাড়িসহ আট দশটি বাড়ি এখন পানির নীচে। বাশের সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে তাদের দিনরাত চলাচল করতে হচ্ছে। আমেনা আরো বলেন আমার বাড়িসহ পাশের বাড়ির ইয়ানুছ, রত্না, মাজহারুল, আক্কেল, মুকসু, হাসু, কসু, কাদির, জজ মিয়া, তোতা মিয়ার ঘরে পানি উঠে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্য রত্না বেগম অভিযোগ করে বলেন, রূপগঞ্জের ডহরগাও এলাকার ইন্টিমেন্টাল স্পিনিং মিল , কয়েকটি হোটেল ও আবাসিক বাড়ির পানি এসে পড়ছে জমিতে । হোড়গাও এলাকার রতন, প্রভাবশালী তোজাম্মেল গং পানির কেনেলটি বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দেয়ার ফলে জ্বলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে । এতে আমাদের এসকল বসতঘরে পানি ওঠে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে । আগে খালে পানি যেত এখন পানি নিস্কাশনের মূখে বাঁধ দেয়ার ফলে পানি ঘরে উঠেছে । তাছাড়া স্পিনিং মিলের বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন আতংকে থাকে । আমেনা বেগম বলেন, আমি সাংবাদিকদের বলায় ইউএনও মেডাম শাহ নূসরাত জাহান নেতাদের দিয়ে গত বছর এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, কিন্তু ১০ মাসও পার হয়নি আবার এলাকার বাড়িঘর ও হোটেলের মল-মুত্র ময়লা পানি সবই এখন এই এলাকায় ছাড়ছে। এতে করে বড় বিপাকে আছি। আমরা এদের সাথে পারি না। তারা যায়গা বিক্রি করে চলে যেতে বলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামিলীগের নেতা রতন বলেন, এলাকার পানি এখন ঐ নিচু যায়গায় ফেলা হচ্ছে আর ওখানে তারা বাড়ি করছে কেন, তাদের এই দুইএকটা বাড়ির জন্য এলাকার সমস্যা হচ্ছে।
আমানে বলেন, এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আমাদের এখন মাননীয় মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া কোন উপায় নেই। তিনি আরো বলেন এলাকার অনেক নেতারা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও আমার কোন কাজে আসেনি।
এখন মন্ত্রীই আমার শেষ ভরসা। আমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করছি।