আবু ইউসুফ ভালুকা থেকে দীর্ঘ প্রায় ১৯ বছর পর আগামী ৩০ নভেম্বর হচ্ছে ভালুকা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন । সম্মেলন কে ঘিরে ইতোমধ্যেই নেতা কর্মীদের ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন চলচ্ছে। গুরুত্বপৃর্ণ পয়েন্ট গুলোতে শোভা পাচ্ছে প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকদের বিভিন্ন রংঙের ব্যানার পোস্টার। উপজেলার সর্বত্রই যেন সাজসাজ রব নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দেখা দিয়েছে উৎসাহ উৎকণ্ঠা। কারা আসছে আওয়ামীগের নতুন নেতৃত্বে - এ প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। এবার সভাপতি পদে স্থায়ীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু, আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী,বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ গোলাম মোস্তফা, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান ও আলহাজ¦ ওয়াহেদ এর নাম শোনা যাচ্ছে। সাধারন সম্পাদক পদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ভালুকা আসনের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তফা এম এ মতিন সাহেবের কন্যা, মনিরা সুলতানা মনি,পৌর মেয়র একেএম মেজবাহ উদ্দিন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা রফিকুল ইসলাম পিন্টু,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজ খান আরিফ,দপ্তর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজিম উদ্দিনসহ একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। এসব প্রার্থী নিয়ে তৃনমূল নেতা কর্মীদের মাঝে চলছে নানা আলোচনা। শোন যাচ্ছে এবার কমিিিটতে ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পাঞ্চল ভালুকা ১১টি ইউনিযন ও ১০৮টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ২০০৩ সারে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যাপক ডা. এম আমান উল্লাহ্ সাহেব কে সভাপতি ও গোলাম মোস্তফাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এর মাঝে এম আমান উল্লাহ্ এর মৃত হলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিযর সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। এখন চলছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে কার্যক্রম। অথচ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও নানান প্রতিকূলতার কারণে তা হয়েনি। এর মধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ড কমিটি করা হলেও পরে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৯ বছর পর দলীয় সম্মেলনের খবরে উচ্ছ¦সিত দলীয় নেতাকর্মীরা । এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মূলত দৃই জনের নামই বেশি আলোচনায় রয়েছে। একজন হলেন স্থায়ীয় সাংসদ কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ। তিনি নিজের ও পারিবারিক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূলেও শোনা যাচ্ছে তার নাম এবার তিনি বেশ আশাবাদী। অপরজন হলেন ৬৯ এর ১১ দফা আন্দলন থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে লড়াই সংগ্রাম করে দলে নেতৃত্ব দিয়ে আসা বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও নেতাকর্মীদের সাথে শোসম্পর্ক কে পুঁজি করেই তিনি সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন। তবে বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা মনে করেন, দলীয় অবস্থান বিবেচনা করলে নেতা মোস্তফাই সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত আ.লীগের নেতারা বলেন, নেতৃত্ব বাছাইয়ে অবশ্যই সাংগঠনিক বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হবে। সৎ যোগ্য এবং দলের পরীক্ষিত দের কেই বেছে নিব আমরা।