নারায়ণগঞ্জে কুখ্যাত ভূমিদস্যু মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ তিন নং ওয়ার্ড সানারপাড় এলাকায় জোরপূর্বক জমি দখল ও নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ মিলেছে হাইব্রিড নেতা মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে।
আর এস ১০৭ নং দাগে ৩ শতাংশ জমির মালিক মিলন বিবি,
তার একমাত্র পুত্র আলমগীর হোসেনকে হেবা ঘোষনা পত্র দলিল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ সুখে শান্তিতে বসবাস করছিলেন তারা। ঘর বাড়িতে হঠাৎ ২০২২ সালে মহিউদ্দিন মোল্লা এসে দাবী করেন এই জমি তার ভুক্তভোগী পরিবারটি এ বিষয়ে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন, মামলাটি চলমান রয়েছে, সাক্ষী শুনানী হয়ে গেছে এখন চুরান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে, মামলা মোকাদ্দমা তোয়াক্কা না করে তার বাড়ীঘর ভাংচুর করে দখল করে নেয়, থানা পুলিশের সহায়তা চাইলে কোন প্রকার আইনি সেবা পায়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনা ঘটে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে দিন ধার্য করিয়া উভয়পক্ষ নিয়ে বসার কথা বলেন, তারপর আর বসা হয়নি।
গত ২০ অক্টোবর আবার দখল করতে আসে শাহীনুর বেগম বাধা দেয়, তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করেন, একপর্যায়ে বুকে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন, এবং আবার থানায় যায় সহযোগিতা পাওয়ার আশায়, তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর কামরুল কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো শাসিয়ে দেয়।
২১ শে নভেম্বর সন্ধায় শাহীনুরকে তামজিদ, রিপনকে দিয়ে ডেকে আনে মহিউদ্দিন।
সানারপাড় বিলে নির্জন স্থানে ধরে নিয়ে যায় ১০ লক্ষ টাকা বুঝিয়া পাইয়াছি মর্মে স্টাম্পে সই করতে বলেন, অস্বিকার করলে শাহীনুরের হাত পা মুখ বেধে অত্যাচার করে, এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যায়, ধৃত আসামীরা মড়িয়া গিয়াছে ভাবিয়া ফেলে রেখে পালিয়ে যায়, শাহীনুরের জ্ঞান ফিরিয়া আসিলে গড়াইয়া গড়াইয়া লোকালয়ে আসার চেষ্টা করেন।
শাহীনুরের সাথে কি কি ঘটেছিলো সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে হাত পা বেধে ফেলায় আমি চিৎকার চেচামেচি করি তারা আমার গলায় উড়না পেচিয়ে সজোরে টান মারে সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, তারপর চোখ মেলিয়া দেখি চতুর্দিকে অন্ধকার।
আমি এখন রাস্তায় বের হলে সবাই জিজ্ঞাসা করে আপনার সাথে ওরা সেদিন কি করেছিলো লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না, ঘর থেকে বের হইতে পারছি না।
আমরা থানায় যাই মামলা করতে থানায় কোন মামলা নেয়নি প্রশাসন, পরের দিন কোর্টে হাজির হইয়া মামলা করি। এ দিকে মামলা মোকাদ্দমা না করার জন্য শাহ জাহান সাজু ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মধ্যস্ততার প্রস্তাব দিলে আলমগীরের পরিবার সাফ জানিয়ে দেন শাহীনুরের সাথে ঘটনার বিচার চাই ইজ্জতহানী শ্লীতহানীর বিচার চাই।
সাংবাদিকদের আরও প্রশ্নের জবাবে, তারা বলেন, মহিউদ্দিন মোল্লা অন্য জায়গার দলিল দিয়ে আমাদের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
এবং আলগীর হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে, এবং বিএনপি করার অপবাদ দিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবার ছাড়া করে রেখেছে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, মহিউদ্দিন মোল্লা চরমোনাই,জামাত, বিএনপির রাজনীতিতে এক সময় সক্রিয় ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী শ্রমিকলীগের ব্যানার ব্যবহার করছেন। যারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মীদের একজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, দলীয় কোন কমিটিতে তার নাম নাই, পোস্টার ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে এসব করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
মুটোফোনে এসআই কামরুলকে সহায়তা না করার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
জমি সংক্রান্ত বিষয় কোর্টে মামলা করলে ভালো হবে এমনটাই পরামর্শ দিয়েছি।