ডেস্ক রিপোর্টঃ রামগতি প্রেসক্লাব হইতে সাংগঠনিক শৃংখলা ভংগ, শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য গোপন, সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মানুষের সাথে প্রতারণা, একাধিক পত্রিকার মিথ্যা পরিচয় দানসহ নানান অভিযোগে প্রেসক্লাবের সকল সদস্যর উপস্থিতিতে সাধারন সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৫ পর্যবেক্ষক সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। রামগতি প্রেসক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম খন্দকার সাক্ষরিত পত্রের আলোকে জানা যায়, গত ১৪ মে প্রেসক্লাবের সভায় সকল সদস্যর উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৫ পর্যবেক্ষক সদস্যকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার হয়। রামগতি প্রেসক্লাব সভাপতি ও সম্পাদক জানান, উল্লেখিত ৫ জন রামগতি প্রেসক্লাবের সাধারন পর্যবেক্ষক সদস্য ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পেশায় নিয়োগ, অনিয়ম, সাংগঠনিক শৃংখলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি সহ নানান অভিযোগ উঠে এবং এ সকল গুরুতর অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এ ৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। বহিস্কৃতরা হলো রিয়াজ মাহমুদ বিনু : তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নেই, তথ্য গোপন, চাঁদাবাজির হাতিয়ার,এক সময়ের ছিচকে চোর থেকে কয়েকটি পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ, পিআইবির আইন লংঘন। আমানত উল্যাহ : অন্য উপজেলার, একাধিক পত্রিকার পরিচয় দান, ইউএনও মহোদয়কে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই। (কাওমি) যে সার্টিফিকেটের কোন ভিত্তি নাই। ফজুমিয়ার হাট এলাকায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে ২বার এলাকায় ত্যাগ করে। বাবা ফজুমিয়ার হাটের গরু কসাই। সে জনগনকে টাকা পয়সা ও হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে ছেলেকে আবার এলাকায় নিয়ে আসে। মোখলেছুর রহমান ধনু : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা নেই, কোন পত্রিকার কার্ড নেই, অন্য উপজেলার, চাঁদাবাজির হাতিয়ার, বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। একসময় ব্রিকফিল্ডের কেরাণির দায়িত্ব ছিলেন। আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে ২০১০সনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধনুর হয়রাণি থেকে বাঁচতে মো. চৌধুরী বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেন। হুমকি থেকে বাঁচতে বিবি কুলসুম বাদী হয়ে সদর থানায় জিডি করেন। জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে হয়রানি থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেন। শাহরিয়ার কামাল : শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, মন চাইলেই গাড়ীর পিছনে একেক সময়ে একেক পত্রিকার নাম লিখেন, অন্য উপজেলার। ভুয়া অনলাইন পত্রিকা নাম বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করেন। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হয় যাহা এখনও চলমান।মুসা কালিমুল্লাহ : অন্য উপজেলার, চাঁদাবাজির হাতিয়ার, ধনুর অনৈতিক কাজের সহযোগী। তারা আরো জানান যে, উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয়ের সাথে প্রেসক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই। তাদের কোন বিষয়ে রামগতি প্রেসক্লাব দায় দায়িত্ব বহন করবেনা।