মুক্তি যোদ্ধারা যদি পায় ভাতা, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কেন? পাবেনা?
27, February, 2021, 1:36:47:AM
মোহাম্মদ মাহামুদুল মালদ্বীপ প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা, জীবনের একটা বড় সময় পরিবার পরিজন ছেড়ে জীবিকার তাগিদে প্রবাসে আছি আমরা প্রায় দুই কোটি বাংলাদেশী রেমিট্যান্স যোদ্ধা , যারা প্রবাসে এত কষ্ট করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়, দেশ ও জাতীর জন্য রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এত কষ্ট করে প্রবাসে থাকি, সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই। দেশে ফিরে গেলে অনেকে পায়না মূল্যায়ন, অনেকেরই দেশে ফিরে গিয়ে করতে হয় মানবেতর জীবনযাপন, আবার যদি কোন প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা বিদেশে মারা যায়,তার লাশ দেশে পাঠাতে পড়তে হয় অনেক ঝামেলায়, এই ঝামেলা কেন তার মানে কি রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দেহে প্রাণ যতোক্ষণ আছে ততোক্ষন রেমিট্যান্স যোদ্ধা, মারা যাওয়ার পরে কিছুই না, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত বুধবার প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ রেকর্ড অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়ায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর, করোনা সময়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা ছিল সর্বোচ্চ রিজার্ভ। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়ালো ৪ হাজার কোটি ডলার, তার পরেও আমরা প্রবাসীরা সরকারের কাছ থেকে কোন কিছুই পাইনা মুক্তিযুদ্ধের এতো বছর পরেও যদি মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবার সরকারি পেনশন ও ভাতা পায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে দেশে থেকে সম্মানিত মুক্তি যোদ্ধারা দেশে জন্য যোদ্ধ করেছে আর আমরা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পরিবার পরিজন ছেড়ে দূর প্রবাসে থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে, আমাদের কে কি সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পরিবার কেন পাবেনা সরকারি সুযোগ সুবিধা, সরকারি ভাতা ,তার মানে কি আমরা মুখে মুখে রেমিট্যান্স যোদ্ধা কাগজে কলমে দেশ ও পরিবারের বোঝা প্রবাসে বসবাস রত ৭০% রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দাবী প্রবাসীদের জন্য যেন সরকার ভাতাচালো করে, চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে গেলে জেন পরিবার পরিজন নিয়ে কোনমতে দুইটা ডাল ভাত খেয়ে যেতে পারে, কারো কাছে যেন বুঝা হয়ে থাকতে না হয়, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা প্রবাসে চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে গেলে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে হয়, কারন যারা প্রবাসী তারা বেশীরভাগ-ই অল্পশিক্ষিত পরিবারের হাল ধরার জন্য লেখাপড়া না করে বিদেশে পারি জমিয়েছে, যারা উচ্চশিক্ষিত তারা দেশে ফিরে যায়না বিদেশেই থেকে যায়, অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা অল্পশিক্ষিত হওয়াতে দেশে গিয়ে পায় না কোন চাকরি, আবার অনেকের নেই কোন কাজের অভিজ্ঞতা, না করতে পারে কৃষি খামারে কাজ,কারণ আমাদের দেশের সমাজের মানুষগুলো তাদেরকে নিয়ে করে উপহাস এতবছর প্রবাসে থেকে এসে কেন করো কৃষিকাজ, আমাদের দেশের যদি একজন লোক রিকশা চালিয়ে পরিবারের দায়িত্ব নেয় তখন তাকে নিয়ে অনেকেই করে উপহাস শিক্ষিত হয়ে যদি কোন ব্যাক্তি করে কৃষিকাজ কিংবা থাকে বেকার, অথবা করে অটো রিক্সা চালিয়ে খাওয়ার চিন্তাধারা তাকে নিয়ে ও করে কটুক্তি ও উপহাস এই কুটুউক্তির কারণে সমাজ ও দেশ দিন দিন রসাতলে যাচ্ছে, কিন্তু কলমের খোঁচায় উচ্চ পদে চাকরি পেয়ে দুর্নীতি সুদ ঘুষ খেয়ে যারা কোটিপতি হয় তাদেরকে নিয়ে কেউ করেনা উপহাস,এই হলো সোনার বাংলাদেশের,মানুষের ইনসাফ, অল্প শিক্ষিত লোক প্রবাসে গিয়ে দেশে টাকা পাঠায় আর দেশের শিক্ষিত লোকেরা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাঠায়। উন্নত দেশগুলোতে কেউ কোন কাজকে ঘৃণা করে না মালদ্বীপের সিটি কাউন্সিলের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ আগে বাহিরে লোকেরা করতেন এখন সেই কাজ করে মালদ্বীপের উচ্চ শিক্ষিত কিংবা উচ্চ বিলাসী পরিবারের লোকজন সরকার কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছে, যেন বেকার বসে না থাকে কেউ, রাত্রে দশটা থেকে বারোটা একটা দুইটা পর্যন্ত এই পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আবার দিনের বেলায় অন্য জগায় চাকরি করে, তা নিয়ে মালদ্বীপে নেই কোন কটুক্তি কিনবা আলোচনা-সমালোচনা, আর আমাদের দেশে যারা এই কাজ গুলো করে তাদের আমাদের সমাজের মানুষ গুলো মানুষ-ই মনে করেনা, (আমার প্রিয় সম্পাদক ও কৃর্তপক্ষ কে জানাই ধন্যবাদ আমার লেখা প্রকাশ করার জন্য,) আমার দেশের বাড়ি কুমিল্লা বুড়িচং,