সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উথুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নারাঙ্গী চৌরাস্তা হতে কাঁচা একটি সড়ক গেছে ডাকাতিয়া গ্রামের দিকে। ওই সড়কটি দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় যানবাহনসহ ভারী যান চলাচলও করে থাকে। পাশাপাশি এলাকার নানা শ্রেণিপেশার বহু মানুষ যাতায়াত করে। যাতায়াতের সুবিধার্থে বছর খানেক আগে ব্রীজটি নির্মান করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। বছর না পেরোতেই ওই ব্রীজটি (অনুমান ৫ ফুট লম্বা ও ৭ ফাড়) দুইবার ভেঙ্গে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে গ্রামের মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রীজটি নির্মাণ করায় কিছুদিন না যেতেই ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ছে। এ নিয়ে দুই বার ব্রীজটি ভেঙ্গেছে। যদি ভাল মানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে ব্রীজটি তৈরি করা হতো তাহলে সহজে ভাঙ্গনের কবলে পড়তোনা ব্রীজটি। তিনি মনে করেন ব্রীজ নির্মানের টাকা ব্যাপক লুটপাট করা হয়েছে।
উথুরা ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্রীজটি ইউনিয়ন পরিষদের ১% এর টাকায় নির্মিত হয়েছে। কত টাকায় নির্মিত হয়েছে তা আমি জানিনা। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।
উথুরা ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান তালুকদার বাচ্চু বলেন, ব্রীজটি প্রায় ২০ ফুট ও ৮ ফুটের হবে। ভারী যান চলাচলের কারণে মাস খানে আগেও ভেঙ্গেছে। সেটি আবারও মেরামত করা হয়। গতকাল রবিবার বালুভর্তি ট্রাক ব্রীজটি পার হতে চাইলে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। তবে তিনি কত টাকায় ব্রীজটি নির্মাণ করেছেন সেটি বলতে পারেন নি।
তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মান ব্যয় সম্পর্কে সচিব বলতে পারবে। তাকে জিজ্ঞাসা করে জানাতে পারবো।