করোনা সংক্রমণে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না ঢাকার কেরানীগঞ্জের বেশীর ভাগ মানুষ। নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। অনেকে মাস্ক পরলেও তা নিদিষ্ট স্থানে থেকে নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে৷ প্রশাসনের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও তা পুরোপুরি পালন করতে দেখা যায়নি। গণপরিবহন থেকে শুরু করে, মার্কেট, কাঁচা বাজারে আসা সাধারণ মানুষ কেউই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না। এছাড়া বাজারে ছোট ছোট চায়ের দোকানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। দূরত্ব বজায় না রেখেই এসব চলতে দেখা গেছে। এভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে মানুষের শিথিলতা করোনা সংক্রমণ আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগর, শুভাঢ্যা, হাসনাবাদ, খোলামোড়া ও রোহিতপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে আসা রুস্তম আলী কাছে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি সব সময় মাস্ক পরে বের হই। আজ আসার সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মাস্ক নিতে ভুলে গেছি। মাস্কপরা আরেকজন ক্রেতা রিন্টু মিয়া বলেন, সবার মাস্ক পরে বের হওয়া উচিত। মহামারির এখন খুব খারাপ সময়। অথচ অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানি না। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বাজারে কেনাকাটা করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। চা বিক্রেতা বজলুর রশিদ বলেন, মাস্ক পড়লে মুখ ঘামে। তাই খুইলা রাখছি। আর কাস্টমারদের নিজের মতো বসতে না দিলে তারা তো আমার দোকানে আইবো না। আমার বেচাকেনা হইবোনা। বেচাকেনা না হইলে খামু কি? উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে নিয়মিত কাজ করছে। তবে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবার মধ্যে আত্মসচেতনতা থাকাটা জরুরী, এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় শনাক্তের হার শতকরা ৩১.৪ শতাংশ, যা অন্য যেকোন স্থানের তুলনায় উদ্বেগজনক। গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলাটি নতুন করে আরও দুই রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবং ২০৮টি নমুনার মধ্যে শনাক্ত হয়ে আরও ৬১ জন।