ঈদুল আযহার বাকী মাত্র তিনদিন। প্রতিবছরের মত এবারো জমে উঠেছে পঞ্চগড়ের রাজনগর পশু হাট। তবে এবার ক্রেতা সংকট হওয়ায় বিক্রি জমেনি। এতে দুশ্চিন্তায় খামারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। গরু বিক্রি না করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের।
রোববার (১৮ জুলাই) পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসীর এই হাটে গিয়ে দেখা যায় গরু-ছাগলসহ বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। জেলার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন আকারের গরু ও ছাগল নিয়ে এই হাটে এসেছেন খামারী ও ব্যবসায়ীরা। তবে বিক্রি নেই বললেই চলে।
কথা হয় গরু ব্যবসায়ী মিজানের সঙ্গে। তিনি ১৮টি গরু এনেছিলেন হাটে। বিক্রি করতে না পেরে সব গুলোই ফেরত নিয়ে যান। তিনি বলেন, কুরবানীর হাটকে কেন্দ্র করে গরু গুলো চরা দামে কিনেছিলাম। লকডাউনের কারণে এতদিন হাটে তুলতে পারিনি। এখন ঈদের আগে বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে।
একই কথা শোনান জালাল উদ্দীন নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনি ১১ টি গরু এনেছিলেন হাটে। এর মধ্যে মাত্র দুইটি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন। তাও প্রত্যাশীতো দাম পাননি দাবি তার।
আবুল হোসেন নামের এক গৃহস্থ্য নিজের পালিত ৫টি গরু এনেছিলেন। বিক্রি করেছেন মাত্র একটি। তিনি বলেন, ক্রেতাই আসছেনা, আসলেও প্রত্যাশীতো দামের ধারে কাছেও দাম বলছেনা।
এদিকে, হাটের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা জারি করেছে কাউকে তা মানতে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে ঘোরাঘুরি করছেন গরু ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাসাধারণ। অনেকের মুখেই মাস্ক ছিলোনা। কেউ থুতনিতে নামিয়ে রাখছে।
রাজনগর হাটের ইজারাদার মোশারফ হোসেন বলেন, এবার বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসেনি। লকডাউনের সময় তারা বিভিন্ন খামার থেকেই গরু সংগ্রহ করেছে। আর স্থানীয় অনেক ক্রেতাই স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে হাটে আসছেনা। তারাও কুরবানীর জন্য বিভিন্ন খামার থেকে গরু কিনছেন।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে হাট ইজারাদার বলেন, অনেকেই নির্দেশনা তোয়াক্কা করছেনা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমাদের লোক কাজ করছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মাস্ক পরানোর জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে কেউ মানছেন, আবার কেউ মানছেন না।