পারভেজ শাহরিয়ার, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলী উপজেলার নদী-নালা ও খাল-বিল ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ ‘চায়না’ জালে। আর এসব জাল দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ডিম দিতে আসা মা ও পোনা মাছ নিধন করছেন এক শ্রেণীর মাছ শিকারি। উপজেলার সর্বত্র স্বল্প পানিতে দেখা যাচ্ছে এই জাল। এদিকে উপজেলা মৎস্য অফিস বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশকিছু নিষিদ্ধ চায়না দিয়ারী জাল পুড়িয়েছেন।
নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহারকারীরা জানায়, এমন কোনো মাছ নেই যা ওই জালে ধরা পড়ে না। উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের গ্রামের নিচু জমিগুলোতে দেখা গেছে সারি সারি অবৈধ চায়না জাল দিয়ে মাছ স্বীকার করতে। যেখানেই একটু পানি জমেছে সেখানেই এই জাল পেতে অবাধে ডিমওয়ালা দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে।
মাছের প্রজনন কাল চললেও নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে মাছ স্বীকার করায় নতুন পানিতে মা-মাছ ডিম ছাড়তে পারছে না। এর ফলে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পোনা মাছও ধরা পড়ছে ওই জালে। এভাবে অবাধে নিষিদ্ধ চায়না জাল দিয়ে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন করলে দেশীয় প্রজাতির মাছের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব নিষিদ্ধ বেশকিছু জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চায়না জাল ও কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধে বিক্রয়কারী ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, মৎস্য অধিদফতর এবং উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে নিষিদ্ধ চায়না জাল অপসারণে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া অসাধু মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।