টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বংশীনগর গ্রামের শাহআলমের মেয়ে সাবানা নাবালক শিশু খাদিজাকে নিয়ে বিচারের আশায় ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা গেছে,বংশীনগর গ্রামের রবি খানের ছেলে শফিকুল ইসলামের সাথে ৯০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিগত ৩০/১০/২০১২ইং সালে একই গ্রামের শাহআলমের মেয়ে সাবানার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্নভাবে স্বামী শফিকুল স্ত্রী সাবানাকে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে সাবানার পিতা শাহআলম ৬ বছর আগে মেয়ের জামাইকে বিদেশ যাওয়ার জন্য তিন লাখ টাকাসহ ধাপে ধাপে প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা দিয়েছেন। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর আবারো এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সাবানাকে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে এবং এক কাপড়ে নাবালিকা শিশু খাদিজাকেসহ তার শশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিভিন্ন শালিস-দরবার করার পরও কোন সুরাহা না হওয়ায় সাবানা বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিঃ মির্জাপুর থানা আমলী আদালত টাঙ্গাইল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ধারায় (সি আর ৩৩১/২০২২) একটি মামলা দায়ের করে এবং ৫লাখ ৫০হাজার টাকা খোরপোষের দাবিতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পারিঃ সহকারী জজ আদালতে আরেকটি মামলা(৮৪/২০২২ইং)দায়ের করেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী সাবানা বেগম বলেন,বিচার না পেয়ে নাবালিকা শিশু খাদিজাকে নিয়ে আমি বিচারের আশায় ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছি এখন বিজ্ঞ আদালত হচ্ছে আমার শেষ ভরসা।