আহসান হাবীব রানা, ইবি প্রতিনিধি। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন `একাউন্টটিং এলামনাই এসোসিয়েশন ` এর উদ্যোগে পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম চত্বরে `একাউন্টিং এলামনাই এসোসিয়েশন` এর ১৯৯৮-৯৯ ব্যাচের আয়োজনে এই পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়েছে। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলো।

`চিতই পিঠা`,`সিঙ্গারা-পুরি`,`জিলাপি` ও `চা-কফি` সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মাঝে তৈরি ও বিতরণ করেছে বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কোলাহল ও আড্ডায় মুখরিত হয়ে উঠেছিলো জিমনেসিয়াম চত্বরের পিঠা উৎসব। উৎসবে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ধরণের পিঠা পদর্শিত এবং সবার মাঝে ফ্রি বিতরণ করা হয়েছে। পিঠা উৎসবের আড্ডায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নবীনদের সাথে তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন সম্পর্কে আলাপ করেন এবং ধারণা দেন।

পিঠা উৎসবটি সবার জন্য উম্মুক্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এখানে দেখতে ও পিঠা খেতে ভিড় জমিয়েছে।

এ ব্যাপারে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতিতে পিঠা উৎসব জমে উঠেছে এবং সব শিক্ষার্থীরা আনন্দ মুখর হয়ে আছে। আমি নিজেও এই বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী, অনেকদিন পর বিভাগের বন্ধুবান্ধব সহ বড় ভাই ও ছোট ভাইদের সাথে আড্ডা দিতে পেরে অনেক বেশি আনন্দিত। এবং আমাদের পূর্ণমিলণের এই ধারা সবসময়ই চলমান থাকবে।

বিভাগের ১৯৯৩-৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এস.এম সুলতান রেজাউল হায়াত অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, প্রায় ২০ বছর পর ক্যাম্পাসে এসেছি, অনেকদিন পর প্রিয় সহপাঠীদের কাছে পেয়ে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি। যাদের সাথে একসাথে শিক্ষাজীবন শেষ করেছি, কিন্তু কর্মব্যস্ততায় তাদের সাথে দেখা ও আড্ডা দেয়া হয়ে উঠেনি। কিন্তু আজ পিঠা উৎসবের আয়োজনে সবাইকে কাছে পেয়েছি। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা কামনা করি।

প্রসঙ্গত, `একাউন্টিং এলামনাই এসোসিয়েশন` এর উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রথম পূর্ণমিলনের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত পূর্ণমিলনের প্রথম অংশ হিসেবেই অদ্যকার এই পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়েছে।