পঞ্চগড়ে শেষ হলো হানিফ বাংলাদেশির ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’
6, March, 2021, 11:39:53:PM
মো. বাবুল হোসেন , পঞ্চগড়:
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে ভোটাধিকার চাই ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের দাবিতে হানিফ বাংলাদেশির ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ শেষ হয়েছে। তার এই কর্মসূচির সমর্থনে সংবর্ধনা ও নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন।
শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে অভিযাত্রার ৮০তম দিনে পঞ্চগড় শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে বক্তব্যের মাধ্যমে হানিফ বাংলাদেশী তার কর্মসূচি শেষ করেন। এর আগে, শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তিনি সর্বস্তরের মানুষের কাছে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।
কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, আমাদের সংবিধানে লেখা আছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। আর রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হলো ভোটাধিকার। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে সব শাসক দ্বারা জনগণের ভোটাধিকার কম-বেশি লুণ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণের প্রত্যাশা- ভোটাধিকার ও কার্যকর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সংবিধান মতে, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ আর রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত ভোটাধিকার, যাহা ৫০ বছর ধরে লুণ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকলে অন্যায় দীর্ঘায়িত হয় না। এখন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার ক্ষমতা জনগণের হাতে নেই, সে কারণে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এখন কাঙ্ক্ষিত সে ভোটাধিকার, কার্যকর গণতন্ত্রের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি দেশের প্রতিটি থানা শহর ও জেলা শহর প্রদক্ষিণ করে আজ শেষ হলো।
হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, এই ৮০ দিনে ৬৪ জেলা থেকে ২৩ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ শেষ করেছি। তবে ভোটাধিকার আন্দোলন এখানেই শেষ নয় আগামী দিনেও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে।
নাগরিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দীন।
এর আগেও ২০১৯ সালের ১২ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ভোটাধিকারের দাবিতে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পদযাত্রা করেন হানিফ বাংলাদেশী। একই বছর ১৪ মে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে পচা আপেল নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দুর্নীতি বন্ধের জন্য ৬৪ জেলার ডিসিকে স্বারকলিপি দিয়েছেন এবং দুর্নীতিবাজদের উদ্দেশে জেলায় জেলায় লালকার্ড প্রদর্শন করেছেন। ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর প্রতীকী লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্ত অভিমুখে পায়ে হেঁটে সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।