দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পল্লীতে প্রতিপক্ষরা ৪৪টি আম গাছ কেটে ফেলে ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির রামভদ্রপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ ইসাহাক আলীর অভিযোগে জানা যায়, রামভদ্রপুর মৌজার বনবিভাগের সরকারী গেজেট ভূক্ত ভূমি এসএ দাগনং-১৯৪, জেএল নং-১২৫, পরিমান-২.৮০ একর। উক্ত জমিটি বন বিভাগের। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। গত ০৪/০৭/২০১৯ ইং তারিখে মোঃ ইসাহাক আলী আম বাগান করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, সামাজিক বন বিভাগ, দিনাজপুর বরাবর আবেদন করেন। আবেদন করলে ভবানীপুর বীট কর্মকর্তা সুপারিশ করে মধ্যপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তাকে আবেদন পত্রটি সদয় বিবেচনার গত ০৪/০৭/২০১৯ ইং তারিখে প্রেরণ করেন। যাহার পত্র নং-৮৪/ভবানী-১৩। উক্ত আবেদনে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাড: মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (এমপি) সুপারিশ করেন। উক্ত দাগের বাগানটি উল্লেখিত ব্যক্তিগনেরা ভোগদখল করে আসছেন তাদের নামে চুক্তিনামা প্রদান করা হলে সরকারি স্বার্থ রক্ষা হবে মর্মে গত ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্তা মধ্যপাড়া সমাজিক বন বিভাগ, দিনাজপুর কে অবগত করেন। গত ২৬/১০/২০২০ ইং তারিখে মোঃ ইসাহাক আলী গং ও তার পুত্র সৌরভ আলী বরাবর ১০ বছর মেয়াদে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি পত্র হয়। সেই চুক্তি পত্রের আলোকে মোঃ ইসাহাক আলী ২.৮০ একর জমিতে ৭০টি আমগাছ রোপন করেন। কিন্তু একই গ্রামের আব্দুল কাশেম এর পুত্র মোঃ আতাউর রহমান রাতের আধারে তার ৪৪টি আমগাছ কেটে ফেলেন। ঐ ব্যক্তি আবার দিনাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত ফুলবাড়ী-৫ এ ৬ জনকে আসমী করে মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-সিআর-২৮/২১। উল্লেখ্য যে, রামভদ্রপুর গ্রামের এই মামলার স্বাক্ষী দুই জন ১। তছলিমের পুত্র মাসুদ ও ২। নূরু পাইকাড় এর পুত্র রেজাউল ইসলাম এদের দুই জনের বিরুদ্ধে বন বিভাগের গাছ চুরি ও হুমকি প্রদানের কারণে বন কর্মকর্তা পৃথক পৃথক ভাবে ১৩টি মামলা দায়ের করেন। মামলা গুলি বর্তমান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আতাউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। এই জমির প্রকৃত মালিক মোঃ ইসাহাক গং। কিন্তু ভূমি দস্যূরা অন্যায় ভাবে গাছ কেটে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেপ কামনা করেন মোঃ ইসাহাক আলী।