নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য ফরহাদ ও আজিজের কারনে পাসপোর্ট অফিস এখন দুর্ভোগের কেন্দ্র। ফরহাদ-আজিজ নামক আনসার সদস্যদের ছত্রচ্ছায়ায় তৎপর আছে শক্তিশালী একটি দালাল চক্র।ফলে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পাসপোর্ট করতে আসা নিরীহ লোকজনদের।আঞ্চলিক পাসপোর্ট দপ্তরটির অবস্থান নারায়নগঞ্জের সাইন বোর্ড লিংক রোডে।এটি নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস’ নামে লোকজনের কাছে পরিচিত। এখানে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আছে ৪ জন আনসার সদস্য।এদের সকলেই পাসপোর্টের দালালীর সাথে যুক্ত।নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পুর্বের অফিস জা্লকুড়ি এলাকার ফকির বাড়িতে অবস্থিত ছিল, সেখানেও এসব আনসার সদস্যদের দালালীর তৎপরতা ছিল বলে জানাগেছে।মুলত তাদের মাধ্যমেই পাসপোর্টের দালালী বানিজ্য নিয়ন্ত্রন করেন নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।বাহিরের দালালরাও এই আনসার সদস্যদের মাধ্যমেই ফাইল চালাচালি করে থাকে যার নাম চ্যানেল বলে পরিচিত।দালালদের প্রত্যকের নামে এরকম স্বঘোষিত চ্যানেল রয়েছে।তাদের জাল ছিন্ন করে সরাসরি কেউ সেবা নিতে পারেন না।এবং তারা সাধারন গ্রাহক কে আনসার সদস্য বলে মানুষকে বাড়তি সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ ভাবে চ্যানেল ফি এর নামে বাড়তি টাকা নেন।সরকারী ফি এর চাইতেও অতিরিক্ত আরো ৫৫০০ টাকা আনসার সদস্য ফরহাদ-আজিজ কে দিতে হয়।এসব অতিরিক্ত টাকার ভাগ পাসপোর্ট অফিসের অসৎ কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন বাবদ কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে পৌছে দিয়ে বাকী টাকা আনসার সদস্য ফরহাদ-আজিজের পকেটস্থ হয়।সরেজমিনে সংবাদ কর্মীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নারায়নগঞ্জ গিয়ে প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা জানতে পারেন।এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক এক দোকানদার ব্যাক্তির কাছ থেকে জানা যায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নারায়নগঞ্জের সবচাইতে বড় কুখ্যাত দালাল চক্রের মুলহোতা হচ্ছে আনসার সদস্য ফরহাদ ও আজিজ।প্রতিনিয়ত দালাল চক্রের প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।আঞ্চলিক পাসেপোর্ট অফিসে ঘুষ ও দালাল ধরা ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালাল ধরে চাহিদার টাকা দিলেই সময়মতো মিলছে পাসপোর্ট। এছাড়া সাধারণ সেবা প্রত্যাশীরা আবেদন করেও সময়মতো পাচ্ছেন না পাসপোর্ট।চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ না দিলে ও দালালের মাধ্যমে কাজ না করালে পাসপোর্টের কাজ হয়না।দালাল না ধরে অফিসে সরাসরি আবেদন জমা দেওয়ায় অনেকে সময় মত পাসপোর্ট পায়না। অফিস খরচের নামে চ্যনেল ফি বাবদ দালালদের থেকে প্রতি পাসপোর্ট বাবদ তিন থেকে চার হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়।’নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পাসপোর্টের সেবাগ্রহীতা সংবাদ কর্মীদের বলেন‘দালালের মাধ্যমে ফাইল জমা না দেওয়ায় পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। নিজে আবেদন জমা দিলেও কাউন্টারের লোকজন নানা সমস্যার কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু দালাল ধরে তাদের চাহিদার টাকা দিয়ে আবেদন করলে সময়ের আগেও পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়। সময়মতো পাসপোর্ট না পাওয়ায় সৌদি আরবে যাওয়ার তার ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে।’অনুসন্ধান করে জানা গেছে পাসপোর্টের দালালী করে আনসার সদস্য ফরহাদ ও আজিজ কোটিপতি বনেগেছেন।তাদের নামে বেনামে রয়েছে একাধিক সম্পদ ও ডিপোজিট ।তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় দিন দিন তাদের এই অপরাধমুলক অবৈধ কর্মকান্ড বেড়েই চলেছে।নিরাপত্তা রক্ষারকাজে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের পাসপোর্টের ফাইল জমা নেওয়ার ও পাসপোর্টের কাজ করার এখতিয়ার আছে কি না সে বিষয়ে কথা বলতে নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালকের মুঠোফোনে কল দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।আনসার সদস্য ফরহাদ ও আজিজের নারায়নগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এসব অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করতে পাসপোর্ট অফিসের মহাপরিচালক সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সংযুক্তিগুলির জাযগা