আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। মহামারী করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় সরকার ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কারনে বরগুনার আমতলী উপজেলায় বিভিন্ন অভ্যান্তরিন সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এসকল সড়কে যান চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করা বিভিন্ন যানবাহনের ৫/৬ হাজার চালক ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। এতে তাদের পরিবার- পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রæত সরকারীভাবে এদের সাহায্যের দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
জানাগেছে, মহামারী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সরকার গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ও সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষনা করে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার ঘোষিত লকডাউন ষষ্ঠদিন চললেও এ লকডাউন মানতে গিয়ে উপজেলার অভ্যান্তরিন সকল রুটে চলাচলরত সকল প্রকার যানবাহন যেমন মাহেন্দ্র, ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ী, টেম্পু, মিশুক, বেবি ট্যাক্সি, ট্যাক্সিকার, বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস বন্ধ রয়েছে। এতে এ পেশায় কর্মরত প্রায় ৫ হাজার চালক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আয় রোজগার বন্ধ থাকায় তাদের পরিবার- পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আজ (সোমবার) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অটোরিক্সা, ইজিবাইক ও মিশুক স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ৫/৬ জন যাত্রী বহন করে চলাচল করছে। এতে অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কিন্তু সড়কে বড় ধরনের কোন যানবাহন চলাচল করছে দেখা যায়নি।
যান্ত্রিকযান থ্রি-হুইলার মাহেন্দ্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান জামাল মুঠোফোনে বলেন, লকডাউনে কোন কাজ না থাকায় বাড়ীতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে চালক ও শ্রমিকরা। কিন্তু পেটতো অলস না, সেতো যথা সময়ে খাবার চায়। এভাবে লকডাউন চললে কি করবে চালক শ্রমিকরা তা ভেবে পাচ্ছি না।
বরগুনা জেলা যান্ত্রিকযান ত্রি-হুইলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা বলেন, সরকারের ১৮ দফা স্বাস্থ্যবিধি ও সর্বাত্বক লকডাউনের কারনে গত ১৪ এপ্রিল থেকে যান চলাচল বন্ধ থাকায় উপজেলার ৫/৬ হাজার চালক ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। এ সকল চালক ও শ্রমিকের পরিবারের মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বেকার চালক ও শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য প্রশাসনের উচ্চ মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, উপজেলার শ্রমজীবি ও অসহায় মানুষকে সহায়তার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। বরাদ্দ পেলে তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এখনো বরাদ্দ পাইনি।