আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ। উপজেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে ১৩ জুন সকাল ১১:০০ টায় এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়েজন করা হয়।
উপজেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়েজিত সাংবাদিক সম্মেললে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদ দেওয়ান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর দপ্তর সম্পাদক মোঃ আনোয়ার ফকির, আওয়ামীলীগ নেতা ও নাগরিক ফোরামের সভাপতি আবুল হোসেন বিশ্বাস, পৌর যুবলীগের সভাপতি ও বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফ উল হাসান আরিফ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা প্রমূখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ দেওয়ান বলেন, আমতলী পৌরসভার মেয়র ও আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান তার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর জি,এম মুসা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক জি,এম ওসমানী হাসানসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে হয়রানি করার জন্য তাদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২১ মে ২০২১ তারিখ রাতে আমতলী পৌরসভার মেয়র ও আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান এর ভাগ্নে আজাদ এবং হাসান মৃধা সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর আহত হন। মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আজাদ আহত হওয়ার পরে আজাদের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে আজাদ তাকে কোপানোর সাথে জড়িত বলে কতিপয় ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন কিন্তু মামলায় তাদের আসামী না করে নিরাপরাধ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে দাবী করেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করা জাহিদ দেওয়ান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন আজাদের সাথে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়া হাসান মৃধাকে প্রথমে মেয়র চিকিৎসা করালেও তাকেও এ মামলার ১৫নং আসামী করা হয়েছে যা রহস্যজনক।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে আইনানুগ শাস্তি দাবী করেন।