বন্দরে জমি বিক্রির টাকা ফেরত চাওয়ায় আপন ছোটভাইকে ৬ ঘন্টা আটক রেখে নির্যাতন করেছে পাষন্ড মাদকাসক্ত ভাই দুলাল ও তার দুু’পুত্রসহ ভাড়াটে গুন্ডারা। গত মঙ্গলবার রাতে থানার বাবুপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহতকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ ভূইয়ার ছেলে স্থানীয় স্টুডেন্ট টেইলার্সের মালিক আমির হোসেন তারই অধীনে থাকা একটি জমির কাগজপত্র মৃত তারা মিয়ার ছেলে তথা তার সমন্ধি দুলাল হোসেনকে বিক্রির জন্য প্রদান করে। সুযোগ বুঝে দুলাল ওই জমি ৩০ লাখ টাকা বিক্রি করে বিক্রির অংক তার কাছেই রেখে বিষয়টি গোপন রাখে। পরে লোক মাধ্যমে আমির জমি বিক্রির খবর জানতে পেরে সে তার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তার সমন্ধি দুলালকে চাপ দেয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্ধন্ধ সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে আমির হোসেন তার জমি বিক্রির প্রাপ্য টাকা ফেরত চাইলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুলাল তার ভগ্নিপতি আমিরকে বেদম মারপিট করে। আমিরকে উদ্ধারে তার স্ত্রী শিউলি বেগম এগিয়ে এলে দুলাল তার ডান হাতে কামড় দেয় এবং দুলালের দু’পুত্র যথাক্রমে রবিন ও তানভীর আমির ও অন্যান্যদের মারপিট করে। এ ব্যাপারে গৃহবধূ শিউলী বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন সকালে বন্দর থানা পুলিশ অভিযোগের তদন্ত করে যাওয়ার পর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুলাল তার দু’পুত্র রবিন,তানভীরসহ তাদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা এবং বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মনোয়ার হোসেন সংঘবদ্ধ হয়ে আমিরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমিরের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম(৩৫) বাধা দিলে উল্লেখিতরা একটি কক্ষে ৬ ঘন্টা আটক রেখে নির্যাতন করে। জাহাঙ্গীরকে রক্ষার জন্য তার স্বজনরা ডাক চিৎকার করলেও দারোগা মনোয়ার হোসেন নির্যাতনকারীদের পক্ষাবলম্বন করে জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যদেরকে পাল্টা গালমন্দ করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী থানায় গিয়ে ওসির নিকট বিষয়টি অবহিত করার পর থানা থেকে ফোর্স গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় জাহাঙ্গীরের স্বজনরা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালামকে জানান,দারোগা মনোয়ারের শেল্টারে মাদক ব্যবসায়ী দুলাল এবং তার পুত্র রবিন,তানভীরসহ তাদের ভাড়াটে গুন্ডারা জাহাঙ্গীরকে একটি কক্ষে আটক রেখে ৬ঘন্টা নির্যাতন করে। তারা আরো জানান,দারোগা মনোয়ার প্রকাশ্যেই এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়ে বলেন,আমি একটা খানকির ছেলে আমার কাছে কারো কোন কথাই চলবেনা। দারোগা মনোয়ারের অস্বাভাবিক মানুষিকতা পুলিশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সচেতন মহল তদন্ত সাপেক্ষে দারোগা মনোয়ারের বিরুদ্ধে আশু বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।